IIT Student Death:আদালতের নির্দেশে, শুরু IIT খড়গপুরের ছাত্রের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া
Second Post Mortem:আদালতের নির্দেশে, IIT খড়গপুরের ছাত্র ফৈজান আহমেদের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হল। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ডিব্রুগড়ে মাটি থেকে তোলা হয় তাঁর দেহ।
সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: আদালতের নির্দেশে, IIT খড়গপুরের ছাত্র ফৈজান আহমেদের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হল। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ডিব্রুগড়ে মাটি থেকে তোলা হয় তাঁর দেহ। ছিলে দুই রাজ্যের পুলিশের প্রতিনিধি ও পরিবারের সদস্যরা।
কী হল?
মঙ্গলবার শুরু হল, আইআইটি খড়গপুরের ছাত্রের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া। এদিন অসমের ডিব্রুগড়ে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাটি থেকে তোলা হয় দেহ। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য মাটি থেকে তোলা হল ফৈজান আহমেদের দেহ। গত ২৫ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, মাটি থেকে দেহ তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে। সেই মতো এদিন শুরু হল প্রক্রিয়া।
ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি, উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর ও ডিব্রুগড় পুলিশের প্রতিনিধিরা। ছিলেন মৃত ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা। গত বছর ১৪ অক্টোবর, খড়গপুর IIT’র হস্টেল থেকে তৃতীয় বর্ষের এক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর পড়ুয়ার পচা-গলা দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ফৈজান আহমেদ (২৩) বিটেক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। ঘটনায়, CID তদন্ত বা SIT গঠনের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মৃতের পরিবার। মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ভর্ৎসনার মুখে পড়েন আইআইটি কর্তৃপক্ষ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন বিচারপতি। গত ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি মন্তব্য করেন, এখন আর একবার করা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপর ভরসা করা যাচ্ছে না। এরপরই গঠন করা হয় বিশেষজ্ঞ কমিটি। মৃত ছাত্রের মাথার পিছনে ভারী কিছুর আঘাত রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার দিকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা হতে পারে। হাইকোর্ট নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরেই নতুন করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারপতি আরও বলেন, এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। এবং তা করতে হবে চিকিৎসক অজয়কুমার গুপ্তর পর্যবেক্ষণে। মামলার পরবর্তী শুনানি, ৩০ জুন।
স্মরণে IISER-র ঘটনা...
গত বছর এপ্রিলে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের গবেষক শুভদীপ রায়ের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়ায়। সে বার হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে ল্যাবের মধ্যে তাঁর অচৈতন্য দেহ মিলেছিল। হরিণঘাটা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের কাছে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। অভিযোগ, যাঁর অধীনে তিনি গবেষণা করছিলেন, সেই অধ্যাপক তাঁর সঙ্গে সহযোগিতা করছিলেন না। মানসিক চাপ সহ্য করতে গবেষক আত্মঘাতী হয়েছেন, এই অভিযোগ ওঠে। দমদমের বাসিন্দা শুভদীপের মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন:হার্ট অ্যাটাকের আগে শুধু শরীরেই নয়, চুলেও আসে এই পরিবর্তন
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
and tablets