Siliguri News: ‘টক টু চেয়ারম্যান’ বনাম ‘দেখুন চেয়ারম্যান' শিলিগুড়িতে তৃণমূল-বিজেপি টক্কর
এই প্রেক্ষিতে কলকাতা পুরসভার ‘টক টু কেএমসি’-র ধাঁচে শিলিগুড়ি পুরসভায় চালু হয়েছে ‘টক টু চেয়ারম্যান’ কর্মসূচি। যেখানে ফোনে সরাসরি সমস্যার কথা জানাতে পারছেন শিলিগুড়ি পুর এলাকার বাসিন্দারা।
সনৎ ঝা, দার্জিলিং: পুরভোট জল্পনার আবহে শিলিগুড়ি পুরসভায় ‘টক টু চেয়ারম্যান’ কর্মসূচি চালু করেছে তৃণমূল পরিচালিত প্রশাসকমণ্ডলী। তাকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ‘দেখুন চেয়ারম্যান’ কর্মসূচি ঘোষণা করল বিজেপি। তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
‘টক টু চেয়ারম্যান’ বনাম ‘দেখুন চেয়ারম্যান। ’যুযুধান দুই শিবিরের দুই কর্মসূচি ঘিরে উত্তপ্ত হচ্ছে শিলিগুড়ি পুর এলাকার রাজনীতি। আগামী ১৯ তারিখ কলকাতা পুরসভায় ভোট। রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলিতে কবে ভোট হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এই প্রেক্ষিতে কলকাতা পুরসভার ‘টক টু কেএমসি’-র ধাঁচে শিলিগুড়ি পুরসভায় চালু হয়েছে ‘টক টু চেয়ারম্যান’ কর্মসূচি। যেখানে ফোনে সরাসরি সমস্যার কথা জানাতে পারছেন শিলিগুড়ি পুর এলাকার বাসিন্দারা।
পুরভোট জল্পনার মধ্যে এমন কর্মসূচি কেন, সেই প্রশ্ন তুলে আগেই সরব হয়েছে বিরোধীরা। এবার ‘টক টু চেয়ারম্যান’কর্মসূচির পাল্টা ‘দেখুন চেয়ারম্যান’ কর্মসূচি ঘোষণা করল বিজেপি। বিজেপি সূত্রে খবর, জানুয়ারি থেকে মাসে দুই শুক্রবার তা অনুষ্ঠিত হবে। দুই বিধায়কের কাছে পুরপরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে পারবেন শিলিগুড়ি পুর এলাকার বাসিন্দারা।
সমস্যার বিষয়টি ভিডিও করেও পাঠাতে পারবেন তাঁরা। তা তুলে ধরা হবে পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যানের কাছে। বিজেপি সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৩টি ওয়ার্ডের মানুষের কথা শুনবেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বাকি ১৪টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কথা শুনবেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক।
শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, চেয়ারম্যানকে আমরা সাহায্য করব। উনি শুনতে চেয়েছেন। আমরা এবার দেখাব। কোথায় কী কী সমস্যা আছে।
বিজেপি-র এই কর্মসূচিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল ও শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলী।
শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা ও প্রশাসকণ্ডলী সদস্য পুরসভা রঞ্জন সরকার, রাজনৈতিক মুনাফা লুটতে দুই বিধায়কের নাটক। মানুষের অভাব অভিযোগ শোনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সর্বদাই রয়েছেন চেয়ারম্যান। রাজ্যের পাওনা টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। তাহলে তো "প্রধানমন্ত্রী দেখুন" এই কর্মসূচি নেওয়ার দরকার রয়েছে। বিজেপি-র কর্মসূচিতে কতটা সাড়া মেলে, এখন সেটাই দেখার।