SSC Hearing: কারা বৈধ, কারা অবৈধ? উত্তর আজও অধরা, কী বলছেন SSC চাকরিপ্রার্থীরা?
Job Seekers Agitation: বিতর্কের মধ্যেই SSC-কে যোগ্য-অযোগ্যদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরির নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
কলকাতা: অতিরিক্ত শূন্য পদ নিয়ে হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) প্রশ্নের মুখে। কেন তৈরি করেছিলেন? যাতে অবৈধদের চাকরি থেকে বের না করতে হয়? এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় প্রশ্ন করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
বিতর্কের মধ্যেই SSC-কে যোগ্য-অযোগ্যদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরির নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে SSC জানায়, ২০১৬-র নিয়োগে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের সংখ্যা ১ হাজার ২১২। চলতি সপ্তাহেই সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছিল, কারা বৈধ, কারা অবৈধ এই বিভাজন করা সম্ভব কি না তা দেখা হবে। কিন্তু এদিনের শুনানিতে তার উত্তর অধরাই রইল। এপ্রসঙ্গে চাকরিপ্রার্থী বলেন, "আমরা বারবার দাবি করে আসছি, সেগ্রিগেশন(যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা) ছাড়া এই যে বিশাল দুর্নীতি হয়েছে, সেগ্রিগেশন ছাড়া কোনও কিছুই ফলপ্রসূ কিছু আশা করা যাচ্ছে না। অতএব আমরা সবসময় আমরা সেগ্রিগেশনের দাবি জানাচ্ছি। সেই দিকে আশা করি কেসটা এগোচ্ছে।'' আরেক চাকরিপ্রার্থীর কথায়, "রাজ্য সরকারেক যদি সদিচ্ছা থাকত, যখন হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, কিছু সংখ্যক যাদের অবৈধ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করলে আজকে এই দিন দেখতে হত না। সুপ্রিম কোর্ট সঠিক পর্যবেক্ষণ করছে, এটা আমাদের যারা যোগ্য ছাত্র পেয়েছি, আমাদের এটাই বক্তব্য।''
হাইকোর্টের চাকরি বাতিলে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেছিল রাজ্য সরকার, SSC এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় চাকরিহারাদের একাংশও। চলতি বছরের ৭ মে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত, ওই ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি আপাতত যাচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রডূড় জানান, যোগ্য়-অযোগ্য আলাদা করা গেলে গোটা প্যানেল বাতিল করা ন্যায্য হবে না। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দেয়, প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের মুচলেকা দিতে হবে, যে তাঁরা যদি অযোগ্য প্রমাণিত হন, তাহলে তাঁদের ফেরত দিতে সম্পূর্ণ বেতন। সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতেও উঠে আসে অতিরিক্ত শূন্য়পদ তৈরির প্রসঙ্গ।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তখন বলেছিলেন, কেন রাজ্য সরকার এই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিল? ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ার অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন ২০২২ সালে এসে তৈরি হল? রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২১ সালে এই সব মামলা কলকাতা হাইকোর্টে আসে। সেই সময় র্যাঙ্ক জাম্প-সহ একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। তারপরই ৬ হাজার ৮৬১টি অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি হয়। হাইকোর্টকে এই বিষয়ে অবগত করা হয়। আদালতের নির্দেশে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়নি। অন্তর্বর্তী নির্দেশে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়, মন্ত্রিসভা-সহ যারা অতিরিক্ত শূন্য়পদ তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছিলেন, তা নিয়ে CBI তদন্ত চালাবে। তবে, কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না। OMR নষ্ট করে দেওয়া প্রসঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত বলেছিল, যখন OMR নষ্ট করা হবে, তখন তো এটা নিশ্চিত করতে হবে যে Mirror Image আপনাদের সার্ভারে আছে। এটা তো SSC-র দায়িত্ব।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Murshidabad Farmer Attack: ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে অত্যাচার, ২ কৃষককে বেধড়ক মার বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের