Canning : প্রাণহানির আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক ! গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত
TMC MLA : ৫ মাসের মধ্যে দু-দু’বার প্রাণহানির আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাস
![Canning : প্রাণহানির আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক ! গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত South 24 Paragana : Main accused arrested for alleged threat of murder to TMC MLA Canning : প্রাণহানির আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক ! গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/10/30/3f2ae9d81cabc8d3b459b149d2f196cb1667107885227170_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
শান্তনু নস্কর, শিবাশিস মৌলিক ও মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা : প্রাণনাশের আশঙ্কায় আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক (Canning West TMC MLA)। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত চিরঞ্জিৎ হালদারকে শুক্রবার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে ধৃতের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।
৫ মাসের মধ্যে দু-দু’বার প্রাণহানির আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাস। স্থানীয় থানা ছাড়াও, চিঠি দিয়েছিলেন ক্যানিংয়ের SDPO, বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপারকে। সেই ঘটনায় এবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত চিরঞ্জিৎ হালদার।
শুক্রবার রাতে বেতবেড়িয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ক্যানিং থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে অন্য একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ক্যানিংয়ের SDPO দিবাকর দাস বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগও রয়েছে। আমরা খতিয়ে দেখছি।
গত ১১ অক্টোবর চিরঞ্জিৎ হালদারের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক। তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, বেশ কিছু দুষ্কৃতী রয়েছে, তার মধ্যে চিরঞ্জিৎ হালদার বলে একজন আছে। এর আগেও আমাকে চক্রান্ত করেছিল খুনের জন্য।
বিজেপি ও আরএসএসের সক্রিয় কর্মী ?
এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ধৃত চিরঞ্জিৎ হালদারের ছবি দেখিয়ে তৃণমূল বিধায়কের দাবি, তিনি বিজেপি ও RSS’এর সক্রিয় কর্মী। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, আমি আগেও বলছি, এখনও বলছি এই ছেলেটা বিজেপি ও আরএসএসের সক্রিয় কর্মী।
যদিও জয়নগর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি উত্পল নস্কর বলেন, চিরঞ্জিৎ হালদার বিজেপি বা সঙ্ঘের কার্যকর্তা ছিল না। ২০১৯-এর পর দলে এসেছিল। বিধানসভা নির্বাচনের পর আবার তৃণমূলে চলে যায়। পরেশরাম দাসের বিরোধী গোষ্ঠীতে নাম লিখিয়েছে। নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঢাকতে বিজেপির নাম করছে।
সম্প্রতি বাসন্তীতে তৃণমূল কর্মী জানে আলম গাজির খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) ক্যানিং (Canning) থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Police)। গত ২০ অগাস্ট বাসন্তীর আনন্দবাদ গ্রামে খুন হন জানে আলম গাজি। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল মণিরুল মোল্লা। ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল সে। এরপর ১ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
২০ আগস্ট বাসন্তীর ভরতগর গ্রাম পঞ্চায়েতের আনন্দবাদ গ্রামে জানে আলম গাজিকে প্রকাশ্যে দিবালোকে বুকের মধ্যে বল্লম গেঁথে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল যুব তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। নিহত ওই তৃণমূল কর্মীকে যুব তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী মণিরুল মোল্লার বাড়ির মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছিল। এই খুনের ঘটনায় মোট ৩০জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।
আরও পড়ুন ; নৈহাটির শিবদাসপুরে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির মৃত্যু !
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)