South 24 Paragana News: রেশনের ১৫ হাজার কুইন্টাল চালের হিসেবে গরমিল কাকদ্বীপে, সাসপেন্ড এম আর ডিস্ট্রিবিউটর
Ration Distributor: এই ডিস্ট্রিবিউটরের অধীন কাকদ্বীপ ও নামখানা ব্লকের ১০০ রেশন ডিলার আছেন। ডিলারদের চাল সরবরাহ করতেন এই ডিস্ট্রিবিউটর।
গৌতম মণ্ডল, কাকদ্বীপ : রেশন দুর্নীতি ঘিরে এমনিতেই উত্তাল রাজ্য। একের পর এক অভিযোগ সামনে এসেছে সম্প্রতি। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। 'শ্রীঘরে'বাকিবুর রহমান। এই আবহে রেশনের মজুত চালে ব্যাপক গরমিল ধরা পড়ল। সরকারি ১৫ হাজার কুইন্টাল চালের হিসেবে ব্যাপক গরমিল ধরা পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে। এই ঘটনায় এম আর ডিস্ট্রিবিউটর অমিত ভগতকে সাসপেন্ড ও শোকজ করেছে জেলা খাদ্য নিয়ামক। এদিকে ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন ডিস্ট্রিবিউটর অমিত ভগত।
এই ডিস্ট্রিবিউটরের অধীন কাকদ্বীপ ও নামখানা ব্লকের ১০০ রেশন ডিলার আছেন। ডিলারদের চাল সরবরাহ করতেন এই ডিস্ট্রিবিউটর। ইতিমধ্যে অন্য ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগ করা হয়েছে।
জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা জানিয়েছেন, স্টকে গরমিল পাওয়ার পর অভিযুক্তকে সাসপেন্ড ও শোকজ করা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত চলছে। তদন্তের পর প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেশনে নিম্নমানের সামগ্রী বিলির অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা-
রেশন দোকান (Ration Shop) থেকে ঘরে আটা (Atta) নিয়ে আসতেই চক্ষু চড়ক গাছ হল গৃহস্থের। ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের ডোমজুড়ের (Domjur) শলপ দাসপাড়া এলাকায়। বেশ কয়েকটি বাড়িতে রুটি তৈরির জন্য আটার প্যাকেট খুলতেই কিলবিল করছে পোকা। স্থানীয় রেশন উপভোক্তারা ভাল করে নজর করতেই দেখতে পেলেন, সেই প্যাকেটের মেয়াদ প্রায় দেড় মাস আগে শেষ হয়ে গেছে। আর সেই মেয়াদ উত্তীর্ণ আটার প্যাকেট বণ্টন করা হয়েছিল স্থানীয় রেশন দোকান থেকে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ডোমজুড়ের শলপ অঞ্চলে।
গত বৃহস্পতিবার রেশন দোকান থেকে প্যাকেটবন্দি আটা সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন দাসপাড়ার প্রায় তিনশো পরিবার। রাতে যখন সেই আটার প্যাকেট কেটে রুটি তৈরি করতে যান, তাঁরা দেখতে পান, আটার মধ্যেই কিলবিল করছে ছোট ও বড় পোকা। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পরের দিন সেই আটার প্যাকেট নিয়ে রেশন দোকানে যান স্থানীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, এই পোকা ভর্তি আটা খেলে শরীর খারাপ হতে পারে। যেহেতু ওই আটা শিশুরাও খায় সেজন্য তাদের শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এ ব্যাপারে স্থানীয় রেশন ডিলার জানান, তাঁরা গোডাউন থেকে প্যাকেট বন্দি ওই আটাই পেয়েছেন। তবে সব সময় দেওয়ার আগে আটা মেয়াদ উত্তীর্ণ কি না তা দেখা হয় না।
যদিও ডোমজুড় অঞ্চল খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা এ বিষয়ে মুখ না খুললেও ডিস্ট্রিক্ট কন্ট্রোলার অনন্যা প্রধান জানান বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। তারা এ বিষয়ে তদন্ত করছেন