One Nation One Election: মোদির মন্ত্রিসভায় পাশ 'এক দেশ, এক নির্বাচন' বিল ; শীতকালীন অধিবেশনেই সংসদে পেশ, কী রয়েছে বিলে ?
PM Modi: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আজ "এক দেশ, এক নির্বাচন" বিল অনুমোদন দিয়েছে।
PM Modi: বিরোধী রাজনৈতিক (Opposition Party দলগুলির আপত্তি সত্ত্বেও পাশ হয়ে গেল 'এক দেশ, এক নির্বাচন' (One Nation One Election Bill) বিল । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আজ "এক দেশ, এক নির্বাচন" বিল অনুমোদন দিয়েছে। সূত্রের খবর, সংসদের চলমান শীতকালীন (Parliament Winter Session) অধিবেশনেই পেশ করা হবে এই বিল।
বিজেপি বিল নিয়ে কী বলছে
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) 'এক দেশ, এক নির্বাচন' ধারণাকে একটি "ঐতিহাসিক" সংস্কার বলে অভিহিত করেছে। দলের মতে, এই বিল এলে সাশ্রয়ী শাসন ব্যবস্থার আরও উন্নতি হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ধারাবাহিকভাবে একযোগে নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছেন। এই বিলকে আজকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিল নিয়ে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী
মোদি সরকারের এক দেশ, এক নির্বাচন নিয়ে আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বিশেষজ্ঞ ও বিরোধী নেতাদের প্রতিটি বৈধ উদ্বেগ উপেক্ষা করেছে। তারা অসাংবিধানিক এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বিরোধী 'ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন বিল'এর মাধ্যমে আমাদের রাস্তাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
এটি কোন সচেতনভাবে নেওয়া সংস্কার নয়; এটি ভারতের গণতন্ত্র এবং ফেডারেল কাঠামোকে দুর্বল করার জন্য একটি কর্তৃত্ববাদী পদক্ষেপ। যা সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সাংসদরা সংসেদে এই আইনের বিরোধিতা করবে। বাংলা কখনও দিল্লির স্বৈরাচারী ইচ্ছার কাছে মাথা নত করবে না। এই লড়াই ভারতের গণতন্ত্রকে স্বৈরাচারের কবল থেকে বাঁচানোর জন্য লড়াই।
কবে থেকে বিল নিয়ে আলোচনা
দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতির ইতিহাস বলছে, সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সভাপতিত্বে একটি উচ্চ-স্তরের কমিটির সুপারিশ অনুমোদন করেছিল। কমিটি দেশব্যাপী ঐকমত্য সাপেক্ষে লোকসভা, রাজ্য বিধানসভা এবং স্থানীয় সংস্থাগুলির জন্য একযোগে নির্বাচন করার প্রস্তাব করেছিল। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, গবেষক ছাড়াও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে 191 দিনের আলোচনার পর কমিটি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
এই বিলের কমিটিতে কারা ছিলেন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা গুলাম নবী আজাদ, ১৫তম ফিন্যান্স কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এনকে সিং, প্রাক্তন লোকসভা মহাসচিব ডঃ সুভাষ সি কাশ্যপ,
সিনিয়র অ্যাডভোকেট হরিশ সালভে, প্রাক্তন চিফ ভিজিল্যান্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি, আইন ও বিচার বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) অর্জুন রাম মেঘওয়াল বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই কমিটির সচিব ছিলেন ডঃ নিতেন চন্দ্র।
তিনটি বিলের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে এই ধারণা
"এক দেশ, এক নির্বাচন" পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সরকার দুটি সাংবিধানিক সংশোধনী সহ তিনটি বিল প্রস্তাব করেছে:
1. প্রথম সাংবিধানিক সংশোধনী বিল
লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির জন্য যৌথ নির্বাচনের অনুমতি রয়েছে এই বিলে।
লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির জন্য 'নিযুক্ত তারিখ' এবং একই সঙ্গে মেয়াদ সমাপ্তির বিধান প্রবর্তনের জন্য ধারা 82A সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে এখানে।
2. দ্বিতীয় সংবিধান সংশোধনী বিল
অন্তত অর্ধেক রাজ্যের অ্যাসেম্বলির অনুমোদন প্রয়োজন৷
স্থানীয় সংস্থা নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য নির্বাচন কমিশনগুলির সঙ্গে সহযোগিতা নিশ্চিত করে ভোটার তালিকার বিধানগুলি সংশোধন করতে হবে।
3. তৃতীয় বিল
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির পাশাপাশি বিধানসভার সঙ্গে — পুদুচেরি, দিল্লি এবং জম্মু ও কাশ্মীর — লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির সঙ্গে এই নির্বাচন করাতে হবে৷
গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি অ্যাক্ট (1991), দ্য গভর্নমেন্ট অফ ইউনিয়ন টেরিটরি অ্যাক্ট (1963), এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন (2019) সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে বিলে৷
আগামী দিনে কী হতে চলেছে
লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সাংবিধানিক সংশোধনী প্রয়োজন যা কমপক্ষে 50 শতাংশ রাজ্যের অনুমোদন না হলে হবে না।
কোবিন্দ-নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ দেশব্যাপী ঐকমত্য-নির্মাণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে একযোগে নির্বাচন করার লক্ষ্য সরকারের।
Year Ender 2024: এই নিষিদ্ধ ওষুধগুলো প্রতিদিন ব্যবহার করছি আমরা ! দেখে নিন লিস্ট