South 24 Parganas News: বর্ষবরণের রাতে পিকনিকে নাচতে না দেওয়ায় পিটিয়ে 'খুন' !
New Year Picnic Murder: বর্ষবরণের রাতে যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেইজন্য কড়া নজর রেখেছিল পুলিশ প্রশাসন, তারপরেও ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা
জয়ন্ত রায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বর্ষশেষ ও বর্ষবরণের মাঝে কড়া নজর রাখছিল কলকাতা পুলিশ তথা রাজ্য পুলিশ। যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেইজন্য রাতভর কড়া নজর রেখেছিল পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু তারপরেও ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। পিকনিকে নাচতে না দেওয়ায় বচসার জেরে বর্ষবরণের রাতে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে।
পরিবার এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষবরণের রাত। ঘড়ির কাটায় তখন আনুমানিক ২ টা ৩৫ নাগাদ। শুভেন্দু নস্কর (২৮) নামে এক ব্যাক্তি প্রবীর মন্ডল(৩৮) নামে এক ব্যাক্তিকে মোটা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ। পুলিশকে দেওয়া প্রত্যক্ষদর্শী নিত্যানন্দ সর্দারের বয়ান অনুযায়ী গতকাল বর্ষবরণের রাতে পাড়ারই কয়েকজন যুবক মাইক বাজিয়ে নৈশ ভোজ করছিল। সেই সময়ই অভিযুক্ত শুভেন্দু নস্কর সেখানে নাচবার জন্য যায়। সেই সময় কমবেশি প্রায় সকলেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল।
পিকনিকে অংশগ্রহণকারীদের দাবি, ওই নৈশ ভোজে শুভেন্দুর কোনও প্রকার আমন্ত্রণ ছিল না। তাই বাকি যুবকেরা তাঁকে নাচতে বাধা দেয়। পিকনিক শেষে বাড়ি ফেরার পথে সেই রাগেই সম্ভবত পিটিয়ে খুন করা হয়েছে প্রবীর মন্ডলকে। ঘটনাটি আশুতি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আশুতি রথতলার। গতকাল রাতেই শুভেন্দুর খোঁজে কালীতলা আশুতি থানার পুলিশ শুভেন্দুর বাড়িতে গেলেও শুভেন্দু রাত থেকে এখনও পর্যন্ত পলাতক।
ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও শুভেন্দুর নামে বিভিন্ন ধারায় একাধিক অভিযোগ কালীতলা আশুতি থানায় ছিল। রাতে প্রবীরের স্বজনেরা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের পরিবারের করা অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করার পাশাপাশি অভিযুক্ত শুভেন্দুর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পেশায় দর্জি কর্মী প্রবীরের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া। পরিবারে তার স্ত্রী এবং এক সন্তান বর্তমান।
আরও পড়ুন, বর্ষবরণের রাতে বেপরোয়া সফর শহরে, বিধি লঙ্ঘনে গ্রেফতার ৪৫৭
তেইশ সাল শেষের মুখেও ভয়াবহ ঘটনা ঘটিছিল এরাজ্যেই। নিউটাউনে বহুতলে মহিলাকে কুপিয়ে খুন, স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ছিল পুলিশ (Newtown Murder Case)। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল মেয়েকেও। এই ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল নিউটাউনের নারায়ণপুরে। ঋণ শোধ করতে না পেরে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ওষুধ ব্যবসায়ী, অনুমান পুলিশের। মেয়েকেও ধারাল অস্ত্রের কোপ বলে অভিযোগ ।