(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Canning Crime: 'তৃণমূল উপ প্রধানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরেই হামলা', ক্যানিংকাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য
Canning Shootout: ক্যানিং শ্যুটআউটকাণ্ডে নয়া মোড়।তৃণমূল কর্মীর দাবি, 'তৃণমূল উপ প্রধানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরেই তাঁর ওপর হামলা।' যদিও মানতে নারাজ ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাস।
শান্তনু নস্কর, ক্যানিং: ক্যানিং শ্যুটআউটকাণ্ডে নয়া মোড়। গুলিবিদ্ধ ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সমর্থক জসিমউদ্দিন মোল্লা। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় এক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল কর্মীর দাবি, 'তৃণমূল উপ প্রধানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরেই তাঁর ওপর হামলা করা হয়েছে।' যদিও মানতে নারাজ ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাস। ঘটনায় রাজনীতি-যোগ উড়িয়ে ওই তৃণমূল বিধায়কের দাবি, 'ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে হামলা হতে পারে।'
'তৃণমূল উপ প্রধানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরেই তাঁর ওপর হামলা' , মানতে নারাজ ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক
অভিযোগ, গতকাল রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ রাস্তায় বাইক থামিয়ে তৃণমূল সমর্থক লক্ষ্য করে ৩-৪ জন দুষ্কৃতী গুলি চালায়। তৃণমূল বাঁ কাঁধের কাছে গুলি লাগে তাঁর। স্থানীয় দুষ্কৃতী সাইফুল ঘরামির বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ। তৃণমূল কর্মীর দাবি, 'তৃণমূল উপ প্রধানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরেই তাঁর ওপর হামলা।' 'ব্যক্তিগত শত্রুতায় হামলা হতে পারে, রাজনীতির সম্পর্ক নেই', বলে দাবি করেছেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাস। এই ঘটনায় একাধিক আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। হামলার নেপথ্যে 'বিজেপির হাত রয়েছে' বলে দাবি তৃণমূল সমর্থকের পরিবারের। বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। মাসখানেক আগে ক্যানিংয়ে নৃশংসভাবে খুন হন তিন তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন, কার নির্দেশে অনুব্রত-র বাড়িতে চিকিৎসক? 'আপনি কি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ?' তৃণমূল বিধায়ককে তোপ সুজনের
তিন তৃণমূল নেতাকে গুলি করে ও গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন
গত জুলাইতে তিন তৃণমূল নেতাকে গুলি করে ও গলা কেটে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় শিরোনামে এসেছিল ক্যানিং। ৭ জুলাই, দিনেদুপুরে কুপিয়ে, গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূল নেতা স্বপন মাজি, ভূতনাথ প্রামাণিক ও ঝন্টু হালদারকে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য স্বপন মাঝি, গোপালপুর এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি ভূতনাথ প্রামাণিক এবং যুব তৃণমূলের বুথ সভাপতি ঝন্টু হালদারের। ঘটনাস্থল থেকে একটি তাজা বোমা এবং তিনটি গুলির খোলও উদ্ধার হয়। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে। ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক বলেন,'এই এলাকায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব নেই। সমাজ বিরোধীরা একত্রিত হয়েছে এবং সম্পূর্ণ ভাবে বিজেপি-র মদতে হয়েছে। স্বপন আমাদের একজন সক্রিয় পঞ্চায়েত সদস্য। দু'জন বুথ সভাপতি। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, খুন না করলে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে না। সেই কারণে পরিকল্পিত ভাবে খুন।' যদিও অভিযোগ মানেনি বিরোধী শিবির।