Sovan-Baishaki : শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় সাক্ষ্যদান করলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়
Kolkata News : আদালতে হাজির ছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়ও। শোভন-রত্নার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় সাক্ষ্য হিসেবে লিখিত আকারে তাঁর বক্তব্য আদালতকে জানান বৈশাখী। ৩০ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি।
কলকাতা : শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় (Divorce Case) সাক্ষ্যদান করলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Ratna Chatterjee)। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishaki Banerjee) আদালতে দাবি করেন, শোভনের চরিত্র হননের চেষ্টা করেছিলেন রত্না। এই ইস্যুতে পাল্টা সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়।
সাক্ষ্য বৈশাখীর
শোভন-রত্নার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় আলিপুর জাজেস কোর্টে মামলায় সাক্ষ্য দিতে আসেন বৈশাখী, সঙ্গে ছিলেন শোভন। একই গাড়িতে পাশাপাশি বসে আদালতে হাজির হন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতে হাজির ছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়ও। শোভন-রত্নার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় সাক্ষ্য হিসেবে লিখিত আকারে তাঁর বক্তব্য আদালতকে জানান বৈশাখী। ৩০ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি।
"সত্যের সঙ্গে আছি" : বৈশাখী
আদালত চত্বরে ভয় দেখাতে লোকজন নিয়ে এসেছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়, সাক্ষ্য দেওয়ার আগে তাঁরা মাসল ফ্লেক্সিং করার এমনই অভিযোগ করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আদালত থেকে বেরিয়ে জানান, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বৈবাহিক জীবনের অনেক ঘটনা, টানাপড়েনের সাক্ষী। শোভন চট্টোপাধ্যায় বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় সাক্ষী দেওয়ার কথা বলায় আদালতে বক্তব্য জানাতে এসেছি। আমার কাছে যা প্রমাণ ছিল সেগুলো কোর্টের হাতে তুলে দিয়েছি, এবার আদালত বিচার করবে তা কতটা গ্রহণযোগ্য। আমি সত্যের সঙ্গে রয়েছি।
শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা আদালতে পড়ে রয়েছে। আমার পারিবারিক বন্ধ হিসেবে অনেক ঘটনার সাক্ষী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই তিনি এসে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি তাঁর বক্তব্য লিখিত আকারে রেখেছেন। যেগুলো আদালত গ্রহণ করেছে। প্রত্যক্ষভাবে সত্যকে সামনে আনার জন্য যা করা প্রয়োজন, আমরা সেটা করেছি। এদিকে, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ উড়িয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, কলকাতা পুলিশের নিরাপত্তা রয়েছে ওঁর সঙ্গে। নিজে বাউন্সার রাখেন।কীসের ভয় ওনাদের, জানি না। আমি এমএলএ হয়েও কোনও নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘুরি না। তিনজন ছিল আমার সঙ্গে, তাঁদের নিয়েও যদি কাউকে ভয় দেখাতে পারি, তাহলে তো কলকাতা শহরে আমার থেকে বড় মাস্তান আর নেই। আসলে আমিই ওঁর পুলিশ-বাউন্সারের ভয়ে তিনজনে সঙ্গে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- গড়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ সম্পত্তি কর বাড়তে চলেছে কলকাতায়