Soma Das On SSC Case: কাম্য ছিল না, নির্দোষরাও একই পথের পথিক হয়ে গেল: সোমা দাস
SSC Case Update: চাকরি বাতিল হয়েছে ২৫ হাজার ৭৫২ জনের। শুধু বহাল রইল বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাসের চাকরি।

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হলেও, বহাল থাকল বীরভূমের বাসিন্দা ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাসের চাকরি। মানবিক কারণে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশনামায়। নিজের চাকরি থাকলেও সোমার বক্তব্য যাঁরা যোগ্য তাঁদের সবার চাকরি থাকা উচিত।
কী বলছেন সোমা দাস?
২০১৬-র SSC-র পুরো প্যানেলই বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শিক্ষক-অশিক্ষক মিলিয়ে চাকরি বাতিল হয়েছে ২৫ হাজার ৭৫২ জনের। শুধু বহাল রইল বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাসের চাকরি। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, একটি দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে, যেখানে রায়ে (কলকাতা হাইকোর্ট) বলা হয়েছে চাকরি প্রাপক সোমা দাসকে মানবিক কারণে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আমরা এতে হস্তক্ষেপ করছি না। নিজের চাকরি বহাল থাকলেও সন্তুষ্ট নন সোম দাস, তাঁর বক্তব্য, যোগ্য সবারই চাকরি থাকা কাম্য। আন্দোলনকারী এবং শিক্ষিকা বলেন, "এই রায়টা কখনই আমাদের কাম্য ছিল না। কারণ এই প্যানেলে বহু চাকরি প্রার্থী আছে, যারা কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নেই, সঠিকভাবে চাকরিটা পেয়েছে, এই রায়টা কিন্তু নির্দোষরাও একই পথের পথিক হয়ে গেল। তারাও আজকে বিপদের সম্মুখীন হয়ে পড়ল। তারা এবং তাদের পরিবার।''
২০১৬ সালে, SLST পরীক্ষায় বসেছিলেন সোমা। মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও, চাকরি না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। তারই মধ্যে, ২০১৯ সালে ক্যানসার ধরা পড়ে তাঁর। তাতেও দমে না গিয়ে অন্যান্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধর্না-অনশন-আন্দোলনে লড়াই চালিয়ে যান। সোমার শারীরিক অবস্থার কথা জানতে পেরে, তাঁর চাকরির বিষয়টি রাজ্য সরকারকে সহমর্মিতার সঙ্গে বিবেচনা করতে অনুরোধ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরই, বীরভূম নলহাটির মধুরা হাইস্কুলে বাংলার শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন সোমা। এখন সেই স্কুলেই কর্মরত তিনি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্টের রায়ের পর, রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সোমা দাস। তিনি বলেন, "প্রথম থেকেই ভূমিকাটা খুব একটা সদর্থক নয়। তাদের(রাজ্য সরকার) এই ভূমিকা যে একটা নেগেটিভিটি ছিল, প্রথম থেকেই ফর্ম ফিলাপের সময় থেকেই আমরা দেখে এসেছি, কোনও একটা দুর্নীতি হয়ে এসেছে, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীও এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।''


















