SSC Case: শূন্য়পদ তৈরিতেও জালিয়াতির অভিযোগ, তদন্ত চালিয়ে যাবে CBI?
SSC Case Update: রাজ্য় সরকারের কারা অতিরিক্ত শূন্য়পদ তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছিলেন, তা নিয়ে কি তদন্ত চালিয়ে যাবে CBI?

কলকাতা: কারা অতিরিক্ত শূন্য়পদ তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছিলেন, তা নিয়ে কি তদন্ত চালিয়ে যাবে CBI? ৮ তারিখ সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত শুনানি রয়েছে। গত বছর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, অতিরিক্ত শূন্য়পদ তৈরি করা নিয়ে, রাজ্য় মন্ত্রিসভার ভূমিকা খতিয়ে দেখবে CBI. কিন্তু এই নির্দেশকে চ্য়ালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য় সরকার।
তদন্ত চালিয়ে যাবে CBI?
SSC-তে সুপার নিউমেরারি পোস্টের আড়ালেই কি সুপার জালিয়াতি হয়েছিল? রাজ্য় সরকারের কারা অতিরিক্ত শূন্য়পদ তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছিলেন, তা নিয়ে কি তদন্ত চালিয়ে যাবে CBI? এবার তা জানতে সবার নজর সুপ্রিম কোর্টের দিকে। ৮ তারিখ সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত শুনানি রয়েছে। স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে, সুপার নিউমেরারি পোস্ট অর্থাৎ অতিরিক্ত শূন্য়পদ তৈরি নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়। ২০২৪-এর ২২শে এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বেঞ্চ এ নিয়ে একেবারে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মন্ত্রিসভাকে বড়সড় প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।
কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের ২৬৯ নম্বর পৃষ্ঠায় স্পষ্ট বলা হয়, অতিরিক্ত শূন্য়পদে নিয়োগ নিয়ে CBI তদন্তের উদ্দেশ্য়, এটা সামনে আনা যে, এক্ষেত্রে কী ধরনের দুর্নীতি হয়েছে, কত বড় দুর্নীতি হয়েছে এবং কারা কারা তাতে জড়িত। এটা চমকে দেওয়ার মতো যে, জালিয়াতি করে পাওয়া চাকরি বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল মন্ত্রিসভার মতো জায়গায়। রায়ের কপির ২৭৩ এবং ২৭৪ নম্বর পৃষ্ঠায় নির্দেশের অংশে বিচারপতিরা বলেন, বেআইনি চাকরি প্রাপকদের সুযোগ করে দিতে, অতিরিক্ত শূন্য়পদ তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছিলেন রাজ্য় সরকারের কোন ব্য়ক্তিরা, তা নিয়ে CBI আরও তদন্ত চালাবে। প্রয়োজন পড়লে CBI তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবে। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, মন্ত্রিসভা যখন জেনেছিল যে, বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, তার পরেও কেন তারা সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি করতে গেল? কিন্তু, হাইকোর্টের CBI তদন্তের নির্দেশের বিরোধিতা করে, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য় সরকার। ২০২৪-এর ২৯ এপ্রিল অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি নিয়ে CBI-তদন্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এবার আগামী ৮ তারিখ ফের এই শুনানি রয়েছে।
এর আগে বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাসেই অতিরিক্ত শূন্য়পদ প্রসঙ্গে মন্ত্রিসভার কথা উঠে এসেছিল। আর সেটা স্বয়ং শিক্ষাসচিবের মুখে। ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর, আদালতে উপস্থিত শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের কাছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চেয়েছিলেন, অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন তৈরি করা হল? উত্তরে শিক্ষাসচিব বলেন, উপযুক্ত স্তর থেকেই নির্দেশ দেওয়া হয়। ব্রাত্য বসু নির্দেশ দিয়েছিলেন। চাকরি বাতিলের নির্দেশে প্রথমে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার তারা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল। এবার অতিরিক্ত শূন্য়পদ নিয়ে সিবিআই তদন্তে সর্বোচ্চ আদালত কী করবে? তা জানা যাবে ৮ তারিখ।





















