![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Recruitment Scam:চাকরি-বিক্রির বৈঠক হত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসেই, রিমান্ড লেটারে বিস্ফোরক দাবি ইডি-র
Sujay Krishna Bhadra:চাকরি-বিক্রির বৈঠক হত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসেই। নিজের কাজ করানোর জন্য সেখানে তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর কাছে আসতেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
![Recruitment Scam:চাকরি-বিক্রির বৈঠক হত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসেই, রিমান্ড লেটারে বিস্ফোরক দাবি ইডি-র Sujay Krishna Bhadra Used To Come West Bengal Board of Primary Education Office To Discuss Job Issues Claims ED Recruitment Scam:চাকরি-বিক্রির বৈঠক হত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসেই, রিমান্ড লেটারে বিস্ফোরক দাবি ইডি-র](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/06/01/434b2826bd90d5e38d84a7338fc6f8cd1685597342692482_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: চাকরি-বিক্রির বৈঠক হত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Primary Education) অফিসেই। নিজের কাজ করানোর জন্য সেখানে তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) কাছে আসতেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। আদালতে রিমান্ড লেটারে বিস্ফোরক দাবি করল ইডি (ED)। সূত্রের খবর, শুধু মানিকের মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হিস্ট্রি নয়, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জেরা করে সুজয়কৃষ্ণ সম্পর্কে প্রচুর তথ্য মিলেছে।
কী বলছে ইডি?
ইডি-র দাবি, জেরায় তাপস মণ্ডল জানিয়েছেন, ২০১৪-র টেটের জন্য ৩২৫ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা সুজয় ভদ্রর হাত দিয়ে মানিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া, এই ৩২৫ জনকে চাকরি পাইয়ে দিতে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে নিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। রিমান্ড লেটারে এমনই দাবি করেছে ইডি। সুজয়কৃষ্ণ-মানিক-কুন্তল, এই ত্র্যহস্পর্শ যোগে কোটি কোটি টাকায় চাকরি-বিক্রি হয়েছে বলে ইডি-র দাবি।
প্রেক্ষাপট...
দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে জেরার পর গত পরশু গ্রেফতার হন 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এমফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তদন্তে অসহযোগিতা করার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে প্রাথমিক ভাবে ইডি-সূত্রে খবর মেলে। এ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য়-প্রমাণ হাতে এসেছে বলে সূত্রের খবর। এবিপি আনন্দে প্রথম বার গোপাল দলপতির মুখে 'কালীঘাটের কাকু'র উল্লেখ শোনা যায়। বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ বার বার তাঁর নাম করেই টাকা চাইতেন বলে জানান। এর পর তাপস মণ্ডলের মুখেও নাম শোনা যায় 'কালীঘাটের কাকু'র নাম। ইডি সূত্রে খবর, সেই নিয়ে, মোবাইল ফোনে থাকা তথ্য দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাতে জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন তদন্তকারীদের সামনে মেজাজও হারান 'কালীঘাটের কাকু'। ইডি সূত্রে জানা যায়, মোট তিন দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় 'কালীঘাটের কাকু'কে। তদন্তকারীদের অভিযোগ, একাধিক তথ্য গোপন করেন সুজয়কৃষ্ণ। তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন তিনি। যে তিনটি সংস্থার মাধ্যমে কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে, সেই সব সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের বয়ান মেলেনি। ইচ্ছাকৃত ভাবেই তিনি তদন্তে অসহযোগিতা করেন, বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এর উপর, গত কাল, সুজয়কৃষ্ণের দাদা, অজয়কৃষ্ণ ভদ্র বলেন, "টালির চালের মুদির দোকান থেকে উত্থান ভাইয়ের, অভিষেকের অফিসে চাকরি, বাড়িতে আসতেন অভিষেকও।''যদিও ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন:ত্বকের যত্নে বছরভর কোন কোন প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন?
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)