Suvendu Adhikari : ‘এগিয়ে বাংলায় বীরেদের বিছানার নিচ থেকে থরে থরে টাকার হদিশ’ কটাক্ষ শুভেন্দুর
ED Raid : বিরোধী দলনেতার পাশাপাশি বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও গোটা বিষয় নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন।
কলকাতা : গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ীর বাড়িতে উদ্ধার বান্ডিল বান্ডিল টাকা। ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে ১৭ কোটির হদিশ! কলকাতায় ফের যকের ধন উদ্ধার হওয়া ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। খাটের নিচে টাকার পাহাড়, কালো টাকার রহস্য কী? ইডি তল্লাশিতে (Enforcement Directorate Raid) উদ্ধার প্লাস্টিকে মোড়ে থরে থরে টাকার পাহাড় কোথা থেকে এল? বাড়ছে রহস্য। আর এই টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে তীব্র কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পিছনে কে? এটাই এখন প্রশ্ন বলে খোঁচা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দুর আক্রমণ
‘কলকাতায় আরও একজন ‘বীর’-এর হদিশ পাওয়া গেল। এগিয়ে বাংলায় বীরেদের বিছানার নীচ থেকে থরে থরে টাকার হদিশ’, এর পিছনে কে? এটাই এখন প্রশ্ন, গার্ডেনরিচকাণ্ডে ট্যুইট বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারীর । পাশাপাশি নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেও আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর খোঁচা, 'গোটা বিষয় নিয়ে স্বঘোষিত রানি চুপ আর তাঁর মেয়র ভুল বকছেন।' বিরোধী দলনেতার পাশাপাশি বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও গোটা বিষয় নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন।
Another so called "Veer" found in Kolkata.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) September 10, 2022
Truly it's "Egiye Bangla" (Bengal's leading) in churning out such "Veers" who hide truckloads of cash under their bed.
Question is, it's just a facade, who's the real face behind?
Self declared Queen is silent & her Mayor's crying foul! pic.twitter.com/kTRptlAw38
কলকাতায় ফের যকের ধন
ফের কলকাতায় টাকার পাহাড়, এবার গার্ডেনরিচে যকের ধন উদ্ধার হয়েছে। ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে সাতসকালে হানা দেয় ইডি। প্রথমে সেখানে কোনও টাকা থাকার কথা অস্বীকার করা হয়েছিল। পরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তল্লাশিতে খাটের নিচ থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু প্যাকেট। সেই প্যাকেট খুলতেই বেরিয়ে আসে বান্ডিল বান্ডিল ৫০০ ও ২ হাজার টাকারো নোটের বান্ডিল। বিপুল পরিমাণ অর্থ গুণতে ব্যাঙ্ক থেকে নিয়ে আসা হয় আটটি টাকা গোনার যন্ত্র। যারপর একদিকে তল্লাশি ও অন্যদিকে টাকা গোনার কাজ চলতে থাকে একইসঙ্গে। ১০ ঘণ্টা তল্লাশির শেষে ইডি-র পক্ষে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, এখনও উদ্ধার হওয়া টাকার অঙ্ক প্রায় ১৮ কোটি টাকা।পাশাপাশি এখনও চলছে টাকা গোনার কাজ।
মোবাইল গেমিং অ্যাপ সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগ
মোবাইল গেমিং অ্যাপ সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগে চলছে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে ইডির তরফে জানানো হয়। অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ৬৫ থেকে ৭০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ। বেআইনি লেনদেনের মামলায় একযোগে কলকাতার ৬ জায়গায় ইডির তল্লাশি চালায়। গার্ডেনরিচ ছাড়াও মোমিনপুর, পার্ক স্ট্রিট, নিউটাউন-সহ ৬ জায়গায় অভিযান। যে অভিযানের ৮ ঘণ্টা পরে উদ্ধার ১২ কোটি টাকা। আরও কত টাকা লুকনো রয়েছে সাদামাটা বাড়ির আড়ালে, তা জানতে চলছে তল্লাশি ও টাকা গোনা।
কীভাবে প্রতারণা ?
মোবাইল গেমিং অ্যাপে কীভাবে ফাঁদ পেতেছিল প্রতারকরা? অভিযোগ, প্রতিদিন ৩-৪ হাজার টাকা জেতার অফার দেওয়া হত অ্যাপ ব্যবহারকারীদের। অনলাইন লটারির মাধ্যমে খেলায় টাকা জেতানোর নামে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়। শুরুতে কমিশনের ভিত্তিতে পুরস্কার দিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে প্রতারকরা। কমিশনের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্কে ঢুকে যাচ্ছিল। এরপর ফাঁদে পা দিয়ে অ্যাপ ব্যবহারকারীরা বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করা মাত্রই টাকা তোলার অপশন বন্ধ করে দিয়ে সার্ভারের সব অ্যাডমিন ও অ্যাপ্লিকেশন ডিটেল মুছে দেওয়া হয়। এভাবে প্রায় ৬৫-৭০ কোটি টাকা বাজার তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ।