Firhad Hakim : 'বাংলায় থাকলে ব্যবসায়ীরা আক্রান্ত হবে, বার্তা দেওয়া হচ্ছে, ইডি রেড করে আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে' আক্রমণ ফিরহাদের
Enforcement Directorate : গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ীর বাড়ির দোতলায় খাটের তলায় থরে থরে টাকার বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে। ৮ ঘণ্টায় গার্ডেনরিচে ৮ কোটির হদিশ মিলেছে, লুকিয়ে আর কত?
কলকাতা : ইডি রেড করে বাংলায় ব্যবসায়ীদের ভয় দেখানো হচ্ছে, বাংলার অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, অভিযোগ ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim)। ফের কলকাতায় উদ্ধার হয়েছে টাকার পাহাড়। গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ীর বাড়ির দোতলায় খাটের তলায় থরে থরে টাকার বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে। ৮ ঘণ্টায় গার্ডেনরিচে ৮ কোটির হদিশ মিলেছে, লুকিয়ে আর কত? সেই খোঁজ চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরটের (Enforcement Directorate)।
ইডিকে ফিরহাদের আক্রমণ
গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ীর বাড়িতে বিপুল অর্থ উদ্ধার হওয়ার প্রসঙ্গে না ঢুকলেও ইডির হানা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন ফিরহাদ হাকিম। টক টু মেয়র (Talk to Mayor) অনুষ্ঠানে বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে ইডির অভিযান নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতা (TMC) । ফিরহাদ হাকিমের আক্রমণ, ‘ইডি রেড, ইডি রেড করে ব্যবসায়ীদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে বাংলায় থাকলে ব্যবসায়ীরা আক্রান্ত হবে, বার্তা দেওয়া হচ্ছে। আসলে বাংলার অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে আতঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে মনে মনে করি। বার্তা দিতে চাইছে বাংলায় ব্যবসা কোরো না, বাইরের রাজ্যে করো। সিওর না হলেও আশঙ্কা এমনটাই।' কলকাতার মেয়র কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযান প্রসঙ্গে জোড়েন, 'কেউ অন্যায় করলে নিশ্চয়ই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বেআইনি সম্পত্তি থাকলে তা সিজ করা হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে রেড রেড রেড রেড করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা চলছে।'
জিরো টলারেন্স নীতি সরকারের : শমীক
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ফিরহাদ হাকিমের আক্রমণ প্রসঙ্গে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বিজেপি (BJP) মুখপাত্র বলেছেন, 'সমান্তরাল অর্থনীতি চললে দেশের প্রান্তিক মানুষদের জীবন প্রবলভাবে প্রভাবতিত হয়। তাই সেটা বন্ধ করতে সরকার কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদি সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে। এভাবে ক্রমাগত রেড ও সেখান থেকে টাকা উদ্ধারকে সারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সমর্থন করছেন। '
আক্রমণ সুজনের
টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, "লজ্জার ব্যাপার, কোনও জায়গায় হাতে দিলেই কয়েক কোটি টাকা। মালদায় ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার কয়েক কোটি। অনুব্রত- পার্থ অথবা তাঁদের ঘনিষ্ঠ বা সহযোগী, আর তাদের পিছন পিছন আরও অনেকে একই পথে। আসল কথা হল কালো টাকা রাজত্ব হয়েছে। এখানে কোনও নীতির বিষয় নেই। এই রাজ্য সবসময় একটা সংস্কৃতির পীঠস্থান ছিল। সেই রাজ্যে লুঠেরার রাজত্ব হয়ে গেল। সৌজন্যে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, দেশে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।'
আরও পড়ুন- রোজ ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা জেতার টোপ! টাকা উদ্ধারের ঘটনায় দাবি ইডির