Suvendu Adhikari: রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসতে পারেন শুভেন্দু, তবে ৪ ঘণ্টার জন্য, আদালতে জানাল রাজ্য
Calcutta High Court: মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
কলকাতা: রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী, তবে চার ঘণ্টার জন্য, কলকাতা হাইকোর্টে জানাল রাজ্য সরকার। রবিবার সকাল ১০টা থেকে চার ঘণ্টার জন্য শুভেন্দু সেখানে ধর্নায় বসতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। শুভেন্দুর আইনজীবী যদিও জানিয়েছেন, তিনি শনিবার ধর্নায় বসতে চান। মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। (Suvendu Adhikari)
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে লাগাতার রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলে আসছে বিজেপি। সেই নিয়েই রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু। বিষয়টি নিয়ে জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। রাজ্য জানায়, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় রাজভবনের বাইরে ধর্নায় বসার অনুমতি দেওয়া যাবে না। এর পাল্টা বিজেপি-র তরফে অভিষেক বন্দ্যাপাধ্য়ায়ের দিকে আঙুল তোলা হয়। কয়েক মাস আগে অভিষেক রাজভবনের বাইরে অবস্থান কর্মসূচি করলে, শুভেন্দু কেন পারবেন না, প্রশ্ন তোলা হয়। (Calcutta High Court)
সেই নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই এদিন আদালতে রাজ্য জানায়, রাজভবনের সামনে চার ঘণ্টার জন্য ধর্নায় বসতে পারেন শুভেন্দু। রবিবার সকাল ১০টা থেকে চার ঘণ্টার জন্য তাঁকে অনুমতি দেওয়া যাতে পারে। এর পাল্টা শুভেন্দুর আইনজীবী জানান, শনিবার ধর্নায় বসতে চান বিরোধী দলনেতা। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এর পর জানান, ৭ জুলাই যা কি না রবিবার, সেই দিন শুভেন্দুতে ধর্নার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
এর পর রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত জমাম, রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা হাতে পেয়ে আদালতকে জানাবেন তিনি। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। শুভেন্দু রাজভবনের বাইরে ধর্নায় বসতে পারেন কি না, তা ওই দিনই ঠিক হয়ে যাবে।
এদিন নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে এ নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ও। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে অভিষেক যখন রাজভবনের নর্থ গেটে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান, সেই সময় ১৪৪ ধারা জারি ছিল না। এখন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। যাঁরা এত কথা বলছেন, তাঁদের বিষয়টি জেনে রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তাই কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য এদিন চার ঘণ্টার জন্য ধর্নায় অনুমোদনের কথা জানালে, কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, "কিছুক্ষণ আগেই মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে বলেছেন, তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভের সময় রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা ছিল না। রাজ্য আবার আদালতে জানিয়েছে, ওখানে ১৪৪ ধারা ছিল। তাহলে কোনটা ঠিক?" রাজনীতিকদের কথা না শুনে এজি-র কথা শোনার পরামর্শও দেন তিনি।