Tab Controversy: ট্যাবের টাকা ভিনরাজ্যে ! হ্যাকড সরকারি পোর্টাল ? কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার ?
West Bengal News: জেলায় জেলায় ছাত্রছাত্রীদের জন্য ট্যাবের টাকা উধাও। যা নিয়ে এবার নতুন বিতর্কের মুখে রাজ্য সরকার।
কলকাতা: ট্য়াবের টাকা নিয়ে জালিয়াতির জেরে, বড়সড় প্রশ্নের মুখে রাজ্য় সরকারের ভূমিকা। প্রশ্ন উঠছে, কেন সুরক্ষিত করা হয়নি পোর্টালকে? ব্য়র্থতার দায় কার? ট্যাবের টাকা ভিনরাজ্যে ! হ্যাকড সরকারি পোর্টাল ? কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার ?
প্রশ্নের মুখে রাজ্য় সরকারের ভূমিকা: জেলায় জেলায় ছাত্রছাত্রীদের জন্য ট্যাবের টাকা উধাও। যা নিয়ে এবার নতুন বিতর্কের মুখে রাজ্য সরকার। এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, "কয়েকটি জেলায় ঘটেছে। অল্প কয়েকটি স্কুলে ঘটেছে। প্রশাসনিক স্তরে পুরো বিষয়টা খুঁটিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। যার জন্যে বেশ কিছু গ্রেফতারিও হয়েছে। এছাড়া ন্যাশনাল ইনফোরমেটিক সেন্টারস। এনআইসি একটা এসওপি তৈরি করছে। কোন কোন হ্যাকার এসব করছে, সেটা এনআইসি চিহ্নিত করছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গ্রেপ্তার হয়েছে। আগামী দিনে যারা এই অসাধু কাজ করেছে, কেউ ছাড় পাবে না। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এটার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।''
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রত্যেক পড়ুয়াকে, অনলাইন ক্লাসের জন্য, ট্যাব কিনতে ১০ হাজার টাকা করে দেয় রাজ্য সরকার।mকিন্তু সেই ট্য়াব কেনার স্বপ্নই চূরমার করে দিচ্ছে জালিয়াতি। কোথাও পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছচ্ছে না 'ট্য়াব' কেনার টাকা। কোথাও, 'ট্যাব' কেনার জন্য সরকারের দেওয়া টাকা জমা পড়েছে অন্য়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে বাংলার টাকা চলে যাচ্ছে বিহারে। যেমন মুর্শিদাবাদের সালারের, টেঁয়া শান্তিসুধা দাস হাইস্কুলের, ১৫ জন পড়ুয়া ট্য়াবের টাকা পাননি বলে অভিযোগ। তাদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে SBI-এর টেঁয়া শাখায়। কিন্তু সূত্রের দাবি, ওই ১৫ জনের টাকা জমা পড়েছে বিহারের কিষাণগঞ্জের SBI-এর একটি শাখায়। পূর্ব মেদিনীপুরে ৩৪টি স্কুলে, ২৪২ জন ছাত্র-ছাত্রী 'ট্যাবে'র টাকা পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ভোলসারা দ্বারিকানাথ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়দেব মেটা বলেন, "আমরা সমস্তকিছুই এরকমভাবে আপলোড করি। কিন্তু এই যে ছাত্ররা টাকা পায়নি, তারজন্য মর্মাহত। প্রশাসন থেকে য়া শাস্তি দেবে মেনে নিতে হবে। আমরা চাই ছাত্ররা টাকা পাক।'' ঝাড়গ্রাম জেলার ১২টি স্কুলের প্রায় ৫০ জন পড়ুয়ার টাকা আবার অন্য়ের অ্য়াকাউন্টে চলে বলে অভিযোগ।
আর এতেই বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্য় সরকারকে। সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ সাম্য়জিৎ মুখোপাধ্য়ায় বলেন, " যে অ্য়াপ্লাই করছে,সে ইনপুট দেয়। সার্ভার থেকে যায় ট্রেজারির কাছে। সার্ভারের থেকে কেউ যদি অ্য়াকসেসটা নিয়ে নেয়। সেক্ষেত্রে ম্য়ানুপুলেশন সম্ভব। আটকানো সম্ভব তখনই, যদি সার্ভার নির্দিষ্ট সময় অন্তর রিসেট করেন, অন্য় কাউকে পাসওয়ার্ড না দেন। এই সুপারভাইজ ছিল না।''
ট্য়াবের টাকা উধাওয়ের ঘটনায় সোমবার বিকেলে বিশেষ বৈঠক হয় নবান্নে। মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক কর্তারা। ঠিক হয়েছে, আগামী দিনে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য ‘সিস্টেম’কে আরও উন্নত করতে হবে। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে আধার সংযুক্ত ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্টে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Hooghly Theft News: ঘরের তালা ভাঙা, জগদ্ধাত্রীর ভাসান দেখে ফিরে মাথায় হাত চুঁচুড়ার একাধিক পরিবারের