TET: শুরু ইন্টারভিউ পর্ব, ৬ বছর পর হকের চাকরি মেলায় অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে অভিনন্দন চাকরিপ্রার্থীদের
হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে শুরু হল ৯২ জন চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউ পর্ব।
কলকাতা: চাকরিপ্রার্থীদের (SSC Job Seeker) হাহাকারের মধ্যেই স্বস্তির ছবি। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে শুরু হল ৯২ জন চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউ পর্ব। ৬ বছর পর হকের চাকরি মেলায় আদালত ও বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguly) ধন্যবাদ জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
একদিকে এখনও অনিশ্চয়তা, আরেকদিকে কিছুটা আশার আলো, একদিকে নিয়োগ পত্রের জন্য অনন্ত অপেক্ষা, আরেকদিকে অপেক্ষার অবসান। দীর্ঘ অপেক্ষার পর, অবশেষে, হাইকোর্টের নির্দেশে, প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পেতে চলেছেন, ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ ৯২ জন পরীক্ষার্থী।
শুক্রবার, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে তাঁদের। ইন্টারভিউ ও ভেরিফিকেশন পর্ব চলে। এক চাকরিপ্রার্থী বলছেন, পিটিশন নম্বর এগুলো দিচ্ছি। ভুল প্রশ্নপত্র মামমলায় আমরা ৬ নম্বর পেয়েছি। পেয়ে আজ ইন্টারভিউর প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এই ৯২ জনের প্রত্যেকেই ২০১৪-র TET পরীক্ষার্থী। সেবারের পরীক্ষায়, ৬টি প্রশ্নে ভুল থাকা নিয়ে, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। মামলায় বিশেষজ্ঞ কমিটি তাদের রিপোর্টে ৬টি প্রশ্ন ভুল থাকার কথা জানায়। পরবর্তীকালে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, যে পরীক্ষার্থীরা এই ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, ঠিক বা ভুল যাই হোক, তাঁদের ৬ নম্বর দিতে হবে। ৬ নম্বর বেড়ে যাওয়ায় অনেক চাকরিপ্রার্থীকেই TET উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করে পর্ষদ।
কিন্তু দেখা যায়, এই ক’বছরে অনেকেরই বয়স ৪০ পেরিয়ে গেছে। ফলে ইন্টারভিউতে বসার সুযোগ হারিয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে, চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীকে, নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
২০১৪ থেকে ২০২২, দীর্ঘ ৮ বছরের অপেক্ষার পর, অবশেষে শুক্রবার থেকে শুরু হল তাঁদের নিয়োগের প্রক্রিয়া। আরেক চাকরিপ্রার্থী টুসি অধিকারীর কথায়, হ্যাঁ। আমার ৪২। আমি আজ ভীষণই খুশি। এরপরে যদি পরীক্ষা দেওয়ার চান্স পাই, কোনওদিন সুযোগ পেতাম না। এখন কার দিনের ছেলেমেয়েদের কাছে থেকে মেরিটে আগেই বাদ চলে যাব। অভিজিত্ গাঙিগুলি না থাকলে এটা হতো না।
চাকরিপ্রার্থী ঋতুপর্ণা দত্ত বলছেন, দীর্ঘ ৬ বছর পর আজ যখন ইন্টারভিউ দিতে এসেছি, আমরা চাকরি পাব, এটা ভেবেও ভীষণ ভাল লাগছে। মুখে হাসি ফুটল ৯২টি পরিবারের। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, নথি পরীক্ষার পর, নিয়োগপত্রের সুপারিশ পত্র দেওয়া হবে। নিয়োগপত্র দেবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ।