North Dinajpur: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘরে তালা, এক চিলতে বারান্দায় ঠাঁই পড়ুয়াদের
আচমকা সকাল সকাল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে হাজির খোদ জয়েন্ট বিডিও। এসে যা দেখলেন, তাতে অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার।
সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: ভাড়া বাড়িতে চলা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘরে তালা। পড়ুয়াদের ঠাঁই হয়েছে এক চিলতে বারান্দায়। রান্না হচ্ছে ভগ্নপ্রায় ঝুপড়িতে। জয়েন্ট বিডিও-র আচমকা পরিদর্শনে হেমতাবাদে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দুরবস্থা ফাঁস। তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
পড়ুয়াদের ঠাঁই এক চিলতে বারান্দায়: আচমকা সকাল সকাল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে হাজির খোদ জয়েন্ট বিডিও। এসে যা দেখলেন, তাতে অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার।কোথাও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘরের দরজায় তালা ঝুলছে। কোথাও রান্না হচ্ছে ঝুপড়িতে। সাধারণত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালাতে দুটি ঘর লাগে। একটি রান্নার জন্য। আরেকটি পঠনপাঠন ও খাওয়াদাওয়ার জন্য। কিন্তু উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে কাঁকড়শিং ৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়ে জয়েন্ট বিডিও দেখলেন, একটি ঘর ভাড়া নিয়েই চলছে সেন্টার। আর শিশুদের রান্নাবান্না হচ্ছে অদূরে একটি ভাঙাচোরা ঝুপড়িতে। জয়েন্ট বিডিও যখন সেখানে ঢুঁ মারলেন, পাটকাঠির বেড়া দেওয়া ভগ্নপ্রায় ঝুপড়িতে তখন শিশুদের খিচুড়ি রান্না হচ্ছে।
জয়েন্ট বিডিও-র সঙ্গে থাকা সরকারি আধিকারিক হাঁড়ি থেকে হাতায় তুলে খিচুড়ির গুণগত মান পরীক্ষা করে দেখেন। অনুসন্ধানে নেমে জয়েন্ট বিডিও যে অভিযোগ পেলেন, তা চমকে দেওয়ার মতো।হেমতাবাদের দেবশর্মা পাড়ার বাসিন্দা স্বদেশ দেবশর্মা। তাঁর একটি ঘর ভাড়া নিয়েই চলছে কাঁকড়শিং ৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী জয়েন্ট বিডিও-কে জানান বাড়ির মালিক পেশায় কৃষিজীবী। সেন্টারের ঘরে চাল, গম-সহ চাষের নানা সরঞ্জাম দীর্ঘদিন ধরে তালাবন্ধ করে রেখেছেন তিনি। সেকারণেই পঠনপাঠন চলছে বাইরে।
কাঁকড়শিং ৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের আইসিডিএস কর্মী লিলি চক্রবর্তী বলেন, “আমার সেন্টার করতে অসুবিধা হয়। বলা সত্ত্বেও চাবি দেননি। অফিস থেকেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি এই ব্যাপারে। আমি লিখিত ভাবে কিছু দিইনি। আমার কাছ থেকে লিখিত ভাবে নেওয়া হয়েছিল, ঘর আছে কিনা, ঘর কে ব্যবহার করে। সুপারভাইজাররা জানতে চাইতেন। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেননি।’’
ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বাড়ির মালিককে তড়িঘড়ি ঘর খোলার নির্দেশ দেন জয়েন্ট বিডিও। ঘর খোলার পর ভিতরে ঢুকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। স্বদেশ দেবশর্মা জানান, “জিনিসপত্র ছিল। ওটা আমি রেখেছিলাম। উচিত না। ওটা আমার ভুল হয়েছে। আর রাখব না।’’ হেমতাবাদের জয়েন্ট বিডিও রৌনক রায় বলেন, “এই ঘটনা যাতে পরবর্তীকালে না হয়, পরিষ্কার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিডিপিও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: North 24 Parganas: নাম বিতর্ক অব্যাহত, ফের পথ অবরোধ মতুয়াদের একাংশের