Hooghly News: হুগলির কোন্নগরে তৃণমূল নেতা খুনের তিনদিনের মাথায় অবশেষে গ্রেফতার ৩, আটক আরও কয়েকজন
TMC Leader Murdered: প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে কোন্নগরের ওই তৃণমূল নেতার সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছিল। আর তার জেরেই রীতিমতো পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে তাঁকে।

পার্থপ্রতিম ঘোষ, কোন্নগর : কোন্নগরে তৃণমূল নেতা খুনে তিনদিনের মাথায় অবশেষে গ্রেফতার ৩। আটক আরও বেশ কয়েকজন। জমি বিবাদের জেরে খুন, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। প্রকাশ্যে এসেছে সিসিটিভি ফুটেজ। আগেই জানা গিয়েছিল যে, তদন্তকারীরা এই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছিলেন। সেই সূত্রেই গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। আটক হয়েছেন আরও কয়েকজন। সিসিটিভি ফুটেজে খুনের আগের মুহূর্ত এবং খুনের পর আততায়ীদের পালানোর মুহূর্ত ধরা পড়েছে। এই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
সিসিটিভি ফুটেজ এবং পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে পুলিশ। পরবর্তীকালে খুনের ঘটনায় কারা যুক্ত থাকতে পারে তার একটি তালিকা তৈরি করা হয়। এই সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় যুক্ত বলে জানাচ্ছে পুলিশ। এর পাশাপাশি যাদের আটক করা হয়েছে, কোন্নগরের তৃণমূল নেতা খুনে তাদের কী ভূমিকা ছিল, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কিন্তু কেন খুন হলেন কোন্নগরের তৃণমূল নেতা? প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে কোন্নগরের ওই তৃণমূল নেতার সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছিল। আর তার জেরেই রীতিমতো পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। রেইকি করে তৈরি হয়েছিল খুনের ব্লুপ্রিন্ট। তৃণমূল নেতা কখন বেরোন, কোন রাস্তা ফাঁকা থাকে সবদিকেই নজর রাখা হয়েছিল। আগে থেকে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয় কোন্নগরের তৃণমূল নেতাকে। এই ঘটনায় আর কে বা কারা যুক্ত রয়েছে তা জানার চেষ্টাও চলছে।
কোন্নগরে নিজের গ্যাসের অফিসের সামনে কুপিয়ে খুন করা হয় কানাইপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য পিন্টু চক্রবর্তী ওরফে মুন্নাকে। গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল জেলার রাজনীতিতে। চলতি মাসে ৫ জেলায় তৃণমূলের ৭ জন নেতা, কর্মী খুন হয়েছেন। গত ৩০ জুলাই হুগলির কোন্নগরে কুপিয়ে খুন করা হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য পিন্টু চক্রবর্তীকে। এই ঘটনার তিনদিনের মাথায় অবশেষে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক হয়েছে আরও কয়েকজন। তদন্তের স্বার্থে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
১০ জুলাই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে গুলি করে, কুপিয়ে খুন করা হয় চালতাবেড়িয়ার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি রাজ্জাক খানকে। একই দিনে মালদার ইংরেজবাজারের লক্ষ্মীপুরে জন্মদিনের পার্টিতে স্ত্রীর সামনেই কুপিয়ে খুন করা হয় আবুল কালাম আজাদকে। গত ১৩ জুলাই বীরভূমের সাঁইথিয়ায় গুলি করে খুন করা হয় শ্রীনিধিপুরের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি পীযূষ ঘোষকে। ১৯ জুলাই মল্লারপুরে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা ও ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ বায়তুল্লা শেখের। ২৩ জুলাই মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে কুপিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল কর্মী ষষ্ঠী ঘোষকে। লোহার রড দিয়ে মেরে, শাবল দিয়ে কোপানোয় গত ২৫ জুলাই মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী পতিত পালের। ৩০ জুলাই হুগলির কোন্নগরে কুপিয়ে খুন করা হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য পিন্টু চক্রবর্তীকে।






















