Nusrat Jahan: সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন নুসরত! দাবি খারিজ রাকেশ সিংহের, বললেন, কোনও টাকা দেওয়া হয়নি
Kolkata News: রাজারহাটে বড় ফ্ল্য়াটের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েছিল সেভেন্থ সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থা। মাথাপিছু সাড়ে ৫ লক্ষ করে, ৪২৯ জনের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ। আবারও বিতর্কে তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। বুধবারই নুসরত দাবি করেন, তিনি সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু এদিন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদের দাবি একেবারে খারিজ করে দিয়েছেন সেভেন্থ সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর রাকেশ সিংহ। তাঁর দাবি, সংস্থা থেকে কোনও ঋণ দেওয়া হয়নি নুসরতকে। (Kolkata News)
রাজারহাটে বড় ফ্ল্যাটের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েছিল সেভেন্থ সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থা। মাথাপিছু সাড়ে ৫ লক্ষ করে, ৪২৯ জনের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই ফ্ল্যাট তো মেলেইনি, বরং অভিযোগ উঠছে যে, ওই মানুষগুলির টাকা মার গিয়েছে বলে, আর সেই টাকা দিয়ে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত।
তাই বিচার চেয়ে দরজায় দরজায় ঘুরছেন বয়স্ক মানুষগুলি। দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম অভিজাত এলাকা পাম অ্যাভিনিউয়ে, নুসরতের ২৫০০ স্ক্যোয়্যার ফ্ল্যাট তাঁদের টাকাতেই কেনা বলে অভিযোগ করছেন। যদিও নুসরতের দাবি, সেভেন্থ সেন্স সংস্থা থেকে ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন তিনি। পরে সুদ-সহ তা মিটিয়েও দেন।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: প্রভাবশালী তত্ত্বে আদালতে 'পঞ্চবাণ' ED-র, ফের খারিজ পার্থর জামিনের আবেদন
বুধবার সংবাদমাধ্যমে নুসরত বলেন, "অভিযোগ উঠছে, আমার বাড়ি নাকি দুর্নীতির টাকা দিয়ে কেনা! এই কোম্পানি থেকে আমি একটা লোন নিয়েছিলাম, লোনের অঙ্ক হচ্ছে ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫। ৬ মে, ২০১৭-য় সুদ-সহ ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা, আমি এই কোম্পানিকে ফেরত দিই।"
কিন্তু, নুসরতের এই ঋণ নেওয়ার দাবি খারিজ করে দিয়েছেন সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশ সিংহ। তিনি বলেন, "নুসরত আমাদের থেকে কোনও ঋণ নেননি। আমরা ওই ফ্ল্যাটটা কোম্পানির ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে ওই ডেভেলপারকে অ্যাডভান্স করেছিলাম। পরবর্তী কালে ফ্ল্যাটটি নুসরতের পছন্দ হয়। বাকি টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রি করেন। নুসরত যা বলছেন, তা ঠিক নয়।"
অভিযোগকারীদের মধ্যে সুশান্তকুমার হাজরা নামের এক ব্যক্তি বলেন, "২০১৪ সালে দেখলাম যে টাকা দিয়েছিলাম, সেটা চলে গেল। ভাগ হতে শুরু করল ডিরেক্টরদের মধ্যে। রাকেশ সিংহ থেকে নুসরত এদের কাছে টাকা চলে যাচ্ছে। ১ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা ডেভেলপারদের কাছে গিয়েছে, সেটা দেখতে পেলাম।"
প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পর বুধবার প্রথম সামনে আসেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ। বৃহস্পতিবার পাম অ্য়াভিনিউর ফ্ল্যাটে পৌঁছে জানা যায়, বুধবারও এই বিলাসবহুল এই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন তিনি। নিরাপত্তারক্ষী বলেন, "বুধবার দুপুরে উনি বেরিয়ে যান। তার পর থেকে আর ফেরেননি। এখন মেডরা রয়েছে। এখন নুসরত জাহান কোথায় আছেন, আমরা জানি না।" বৃহস্পতিবার নুসরত জাহানের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও, তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।