(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Jamaluddin Sardar Arrested : মাস্কে পরা দেখেই পুলিশের সন্দেহ, নাটকীয় ভাবে জালে জামাল, আরও অত্যাচারের কাহিনি প্রকাশ্যে
South 24 Pargana News : পুলিশ জামালের খোঁজ শুরু করতেই বারবার জায়গা বদল করতে থাকেন জামাল। মোবাইল ফোন ও নম্বরও বদলে ফেলেছিলেন বারবার।
হিন্দোল দে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : শিকল বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে অবশেষে পুলিশের জালে জামালউদ্দিন সর্দার। তবু যেন আতঙ্ক কাটছে না তাঁর এলাকার মানুষের। প্রতি নিয়ত অত্যাচারিত হওয়ার ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপছেন তাঁরা। আবার যদি জেল থেকে বেরিয়ে পড়ে জামাল ? রক্ষে রাখবে ? এই আতঙ্কই খাচ্ছে কুরে কুরে। জামালের অত্যাচারের কাহিনি প্রকাশ্যে আসার পরেই গা-ঢাকা দিয়েছিলেন জামাল। আর প্ল্যান ছকে ফেলেছিলেন কীভাবে সরিয়ে ফেলবেন বউ-বাচ্চাদের। কিন্তু শেষরক্ষা হয় না। মাস্কে মুখ ঢেকেই আরও বেশি নজরে পড়লেন জামাল।
এক মহিলাকে শিকল বেঁধে মারধরের অভিযোগ ছিল জামালের বিরুদ্ধে। অভিযোগ দায়ের পরেই বেপাত্তা হয়ে যান জামাল। একে একে সামনে আসে নানারকম চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। বাড়িতে সালিশি সভা বসানো, জমি-প্রতারণা-সহ একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসে। শুক্রবার কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স ও নরেন্দ্রপুর থানার সংযোগস্থল শামুকপোতা থেকে জামালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, মারধর, জোর করে আটকে রাখা, শ্লীলতাহানি, তোলাবাজি, প্রতারণা-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
কিন্তু কীভাবে পুলিশের জালে আটকা পড়লেন এই জামাল? পুলিশ জামালের খোঁজ শুরু করতেই বারবার জায়গা বদল করতে থাকেন জামাল। মোবাইল ফোন ও নম্বরও বদলে ফেলেছিলেন বারবার। শেষমেষ মুখে মাস্ক পরাই কাল হল সোনারপুরের জামালউদ্দিন সর্দারের। পুলিশের দাবি, প্রতাপনগর থেকে পালিয়ে গিয়ে ঘুটিয়ারি শরিফে চলে গিয়েছিলেন। রাত কাটান বাঁশ বাগানে। সেখান থেকে বাগুইআটি ঘুরে জামাল চলে আসেন সোনারপুরের মিলন পল্লিতে এক পরিচিতর বাড়ি। এরপর ফের ডানকুনি চলে যান জামাল। বৃহস্পতিবার এসে ওঠেন কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার বৈরামপুরে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওঁৎ পেতেছিল পুলিশ। তখনই মাস্ক পরে থাকায় পুলিশের সন্দেহ হয় এক ব্যক্তিকে দেখে। তারপরই আর পালাতে পারেননি জামাল।
পুলিশ সূত্রে খবর, মাসছয়েকের জন্য দূরে কোথাও পালানোর পরিকল্পনা ছিল। সেইমত স্ত্রী ও সন্তানদের থাকার ব্যবস্থাও করে ফেলেছিলেন জামাল। কিন্তু মুখের মাস্কই শেষপর্যন্ত তাঁকে ধরিয়ে দিল।
অন্যদিকে, জামাল ধরা পড়ার পরও ভয় কাটছে না সোনারপুরের অভিযোগকারিণীর। মহিলার দাবি, জামাল ধরা পড়লেও, তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোরা এলাকায় রয়েছে। তাদের কাছে রয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। তাই জামাল শ্রীঘরে গেলেও, প্রাণের ভয় পাচ্ছেন সোনারপুরের নিগৃহীতা।
আরও পড়ুন :
জগন্নাথধাম থেকে আসছে দুর্যোগ, প্রবল বেগে ছুটছে হাওয়া, কড়া সতর্কতা মৎস্যজীবীদের জন্য