Poila Baishak: আজ পয়লা বৈশাখ, কালীঘাট-দক্ষিণেশ্বর-তারাপীঠে পুজো দেওয়ার ভিড়
Poila Baishakh 2023: নববর্ষের আবাহনে মেতে উঠেছে গোটা বাংলা৷ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া নতুন বছরের আনন্দ৷
কলকাতা: আজ পয়লা বৈশাখ। ১৪২৯-কে বিদায় জানিয়ে বাংলা ক্যালেন্ডারে নতুন বছর ১৪৩০। নতুন জামা, গঙ্গাস্নান, দোকানে দোকানে হালখাতা৷ শুভেচ্ছা-মিষ্টিমুখ-গান-আড্ডা। নববর্ষের আবাহনে মেতে উঠেছে গোটা বাংলা৷ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া নতুন বছরের আনন্দ৷ কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর, লেক কালীবাড়ি থেকে তারাপীঠ, মন্দিরে মন্দিরে পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন।
সারা বছর ভাল কাটুক। এই প্রার্থনা নিয়েই ভোর থেকে ভিড় উপচে পড়ছে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে। পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন পুণ্যার্থীদের। ব্যবসায়ীরাও হাজির হালখাতা নিয়ে।
এদিকে, পয়লা বৈশাখের সকালে মঙ্গলারতি দিয়ে তারাপীঠে তারা মায়ের পুজো শুরু হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিনে সকাল থেকে দলে দলে মন্দিরে আসছেন পুণ্যার্থীরা। ব্যবসায়ীরা হালখাতার পুজো দিচ্ছেন। পাশাপাশি, দূর-দূরান্ত থেকে নতুন পোশাক পরে পুজো দিতে এসেছেন অনেকেই। নতুন বছরের জন্য শুভকামনা নিয়ে মায়ের কাছে পুজো দিচ্ছেন তাঁরা। পয়লা বৈশাখের সকালে মঙ্গলারতি দিয়ে তারা মায়ের পুজো শুরু হয়।
স্বাগত ১৪৩০। বছর পয়লায় হালখাতা, মিষ্টিমুখে ব্যস্ত শহরবাসী। সারা বছরের জন্য মঙ্গল কামনায় দর্শনার্থীদের ঢল কালীঘাটে। রাত থাকতেই পুজোর ডালি নিয়ে হাজির হয়েছেন দর্শনার্থীরা। একে পয়লা বৈশাখ, তার ওপর আজ শনিবার। তাই ভিড়ের চাপও বেশি।
নববর্ষের সকালে কলকাতায় বৈশাখী শোভাযাত্রা। রাজডাঙা ক্লাব সমন্বয় ও রাজডাঙা নব উদয় সঙ্ঘের উদ্যোগে আরবানা আবাসন থেকে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা শুরু হয়। শেষ হয় কসবার অ্যাক্রোপলিস মলে।
আরও পড়ুন, পয়লা বৈশাখে মা-কে প্রণাম করেই বছর শুরুর বাসনা, মন্দিরে মন্দিরে ভক্তদের ভিড়
পয়লা বৈশাখের সকাল থেকে রাজভবন পরিচিত হবে জন রাজভবন হিসেবে। সকাল সাড়ে ১০টায় আম জনতার জন্য খুলে যাবে রাজভবনের সিংহদুয়ার। রাজভবনের বেসমেন্টের পুরোটাই দেখতে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষকে। ফিটন গাড়ি, বিভিন্ন মূর্তি, গ্রন্থাগারের পাশাপাশি সুইমিং পুল, ব্রিজ, এবার থেকে সবই দেখতে পারবে আম জনতা। তার আগে সকালে NCC-র তরফে শান্তির বার্তা নিয়ে দৌড় শুরু হয়। এরপর সাইকেল র্যালিতে অংশ নেন ২০০ জন। ভারতীয় জাদুঘরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আজ হেরিটেজ ওয়াকের আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যেক রাজ্যের প্রতিনিধি ছাড়াও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও দারিদ্রসীমার নীচে থাকা শিশুরা এই হেরিটেজ ওয়াকে অংশ নেবে। তারপরেই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে রাজভবন। বিকেলে পয়লা বৈশাখের বিশেষ অনুষ্ঠান রয়েছে।