Alipurduar News: বাবার দেহ নিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনা, মৃত্যু অধ্যাপক-সহ ৩ জনের
Tragic Accident: বাবার দেহ নিয়ে পৈতৃক বাড়িতে ফেরার সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-সহ তিনজনের। মারা গিয়েছেন অধ্যাপকের মা-ও। গুরুতর জখম স্ত্রী ও কন্যা।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: বাবার দেহ নিয়ে পৈতৃক বাড়িতে ফেরার সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় (car accident) মৃত্যু হল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (North Bengal University) অধ্যাপক-সহ (professor) তিনজনের। মারা গিয়েছেন অধ্যাপকের মা-ও (mother)। গুরুতর জখম স্ত্রী (wife) ও কন্যা (daughter)।
কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সূর্যপদ পাল। ৪৩ বছরের সূর্যপদ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের অধ্যাপক। থাকতেন কামাক্ষাগুড়ির শান্তিনগরে। গত কাল, রবিবার, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাঁর বাবা মারা যান। শিলিগুড়ির এক নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলছিল বৃদ্ধের। তবে মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর ওই নার্সিংহোম থেকে বাবার দেহ একটি অ্যাম্বুল্যান্সে পাঠিয়ে নিজের ছোটো গাড়ি করে কামাক্ষাগুড়ির পৈতৃক বাড়ির দিকে রওনা দেন সূর্যপদ। গাড়িতে ছিলেন মা মিনতি পাল, স্ত্রী পূর্ণিমাবালা পাল, বন্ধু দেবাশিস সাহা এবং সূর্যপদ সাড়ে ৪ বছরের কন্যা। চালকের আসনে ছিলেন অধ্যাপক নিজেই। বাবার দেহ বয়ে নিয়ে আসা অ্যাম্বুল্যান্সের পিছনেই গাড়ি আনছিলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে গাড়িটি যখন বক্সার জঙ্গলের মাঝে পোরো এলাকায় আসে, তখনই উলটো দিক থেকে আসা একটি কন্টেনার গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান অধ্যাপক। তাঁর মা ও বন্ধুরও সেখানেই মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় পূর্ণিমাবালা পাল এবং তাঁদের সাড়ে ৪ বছড়ের কন্যা সন্তান অদিতি পাল-কে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা তাঁদের কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে রেফার করেন। কিন্তু বর্তমানে দুজনেই কোচবিহারের এক নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় শোকের ছায়া কামাক্ষাগুড়িতে। কালচিনি থানার পুলিশ ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করেছে। চালক অবশ্য পলাতক। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আগেও দুর্ঘটনা...
উত্তরবঙ্গের এই জেলায় এক পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গত মে মাসে। সে বার এক টোটোয় ধাক্কা দিয়েছিল বালি ভর্তি ট্রাক। তাতে দুজনের মৃত্যু হয়। প্রতিবাদে অবরোধ, বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তিও হয়। বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। কিন্তু তার পরও দুর্ঘটনা রুখতে কতটা সতর্ক প্রশাসন? আদৌ কি কোনও নজরদারি বেড়েছে? রবিবার রাতের ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে প্রশাসনিক নজরদারি। অধ্যাপকের স্ত্রী ও কন্যার কথা ভেবে আরও শোকার্ত হয়ে পড়ছেন পরিজনরা।
আরও পড়ুন:আরও ৬৫ জনের চাকরি, পুজোর আগেই নিয়োগের নির্দেশ