Abhishek banerjee:'সকলের আগে গিরিরাজ সিংহকে গ্রেফতার করা উচিত', CBI তদন্তের হুঁশিয়ারির পাল্টা অভিষেকের
Union Minister Giriraj Singh:'সকলের আগে গিরিরাজ সিংহকে গ্রেফতার করা উচিত, কারণ যে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তার দায় গিরিরাজ সিংহের', পাল্টা আক্রমণ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, নয়াদিল্লি: 'সিবিআই (CBI Investigation) তদন্ত হলে আদালতের নজরদারিতে হোক। সকলের আগে গিরিরাজ সিংহকে গ্রেফতার করা উচিত, কারণ যে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তার দায় গিরিরাজ সিংহের' (Giriraj Singh), এবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে পাল্টা আক্রমণ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (TMC MP Abhishek Banerjee)।
কী বললেন অভিষেক?
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ শানাতে গিয়ে সোমবার ঐতিহাসিক অনুষঙ্গও টানেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। বলেন, '১৯১১ সালে কলকাতা থেকে রাজধানী এই দিল্লিতে সরিয়ে আনা হয়েছিল। তার পর থেকে কম-বেশি, প্রত্যেক কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে নিপীড়িত, বঞ্চিত করে রেখেছে।' কিন্তু তাঁর পরেই অভিষেকের সংযোজন, 'সব মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে বিজেপির এই কেন্দ্রীয় সরকার।' ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের অভিযোগ, 'এরা প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি করে বাংলার মানুষকে ভাতে মারতে চায়।' এই রাজ্যে বিজেপি বার বার ভোটে হেরে যায় বলেই কি বাংলার প্রাপ্য এখনও আটকে রয়েছে, প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ অবশ্য এদিনই বলেন, 'ভুয়ো জব কার্ডের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বাংলায়।' সেই প্রসঙ্গে সিবিআই তদন্তের হুঁশিয়ারিও শোনা যায় তাঁর মুখে। পাল্টা দিতে ছাড়েননি অভিষেক। বলেন, 'করুন না সিবিআই তদন্ত, কে বারণ করেছে?' তাঁর স্পষ্ট দাবি, 'কথায় কথায় তো PIL হয়, এখানেও PIL করুন। যদি একজনও কেউ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকে, তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিন।' অভিষেকের আরও প্রশ্ন, 'কটা জেলায় দুর্নীতি হয়েছে? বিস্তারিত প্রমাণ দিন।' কেউ দুর্নীতি করে থাকলে তাঁকেও শাস্তিও দিন, স্পষ্ট বক্তব্য তাঁর। কিন্তু এসব বলে যে '৭ হাজার কোটি টাকা আটকে' রাখা যাবে না, সেটা এদিন আরও একবার বুঝিয়ে দেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
আর যা...
কথা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও তুমুল সমালোচনা শোনা যায় অভিষেকের মুখে। ট্রেন বাতিল প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, 'উনি বলছেন আবেদন করা হয়নি। উনি মূর্খ...আবেদন না করা হলে রেল টাকা জমা নিল কেন?' সোমবাক রাজঘাটে তৃণমূলের ধর্নার শেষলগ্নে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাতে জুতো হারান সুজিত বসু, ফোন হারান শান্তনু সেন। অভিযোগ, অভিষেকের সাংবাদিক বৈঠক শেষের আগেই দিল্লি পুলিশের হুইসল বাজতে শুরু করে। সাংবাদিক বৈঠক ভন্ডুল করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে আজ।
আরও পড়ুন:জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে আচমকা ভূমিকম্প, রিখটার স্কেলে তীব্রতা ৫.১