Alipurduar News:৫ বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে সাক্ষাতের পথে 'বাধা', দফতরের সামনে অবস্থান জন বার্লার
Union Minister John Barla:চা বাগান শ্রমিকদের নিয়ে জেলাশাসক দফতরের সামনে অবস্থানে বসলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: চা বাগান শ্রমিকদের (Tea Garden Workers) নিয়ে জেলাশাসক দফতরের (DM Office) সামনে অবস্থানে বসলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা (Union Minister John Barla)। অভিযোগ, ৫টি বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুলিশি ব্যারিকেডে আটকে দেওয়া হয় তাঁদের।
কী জানা গেল?
চা বাগান বন্ধ থাকায় বাগান শ্রমিকদের অবস্থা বেশ খারাপ। সে সম্পর্কেই জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা, সূত্রের খবর এমনই। তাঁদের দাবি, এই নিয়ে জেলাশাসককে আগে থেকে জানানোও হয়েছিল। তার পরও তাঁদের আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ক্ষোভে কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা-সহ চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ঘটনা হল, রাজ্যের চা বাগান নিয়ে জটিলতা আগে থেকেই দানা বাঁধছে। পুজোর মুখে সেই জটিলতা আরও বাড়ে। পুজোর ঠিক আগের সপ্তাহে বোনাস নিয়ে শ্রমিক-মালিক অসন্তোষে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের ৩টি চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর অস্বস্তি ছড়িয়েছিল। সে বার রাতের অন্ধকারে বাগান ছেড়ে পালায় মালিক পক্ষ। দুই জেলায় কাজ হারিয়েছিলেন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক। শুরু হয় রাজনীতি। যদিও তাতে কর্মহীন শ্রমিকদের সুরাহার রাস্তা খোলেনি।
বার বার সমস্যা...
গোটা রাজ্য যখন উৎসবের মরশুম, ঠিক তখনই ডুয়ার্সের ৩টি চা বাগানে নেমে এসেছিল একরাশ অন্ধকার। আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট ও কালচিনিতে পর পর দু’দিন ২টি চা বাগানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল মালিকপক্ষ। মাদারিহাটের মুজনাই চা বাগানের শ্রমিকরা পুজোর মুখে ২০ শতাংশ বোনাস দাবি করেছিলেন বলে খবর। অভিযোগ, তাই নিয়ে টানাপোড়েন চলাকালীন পুজোর মুখে বাগানে তালা মেরে পালিয়ে যায় মালিক পক্ষের লোকজন। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েন মুজনাই চা বাগানের ১ হাজার শ্রমিক। ঠিক তার আগের দিন, কালচিনি ব্লকের রায়মাটাং চা বাগান বন্ধ হয়। কাজ হারান প্রায় ১২০০ শ্রমিক। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেলার দু'টি চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা আতান্তরে পড়লেও রাজনৈতিক দলগুলি দায় এড়ানোর তৎপরতা দেখাতে শুরু করেছিল। শ্রমিকদের দাবি, বোনাস নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও, কাজ বন্ধ করেননি তাঁরা। এরপরও আলোচনা না করেই বিনা নোটিসে বাগান বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। বাগানে তালা ঝোলায় কাজ হারান ১ হাজার ৭৪ জন স্থায়ী শ্রমিক। এবার জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলতে এসে পুলিশি বাধার অভিযোগ স্বয়ং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।
আরও পড়ুন:''একমাত্র তুমিই এমনটা করতে পার'', ম্যাক্সওয়েলের ইনিংসে মুগ্ধ বিরাট