Chopra Shootout: ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি, এখনই টিকিট নিয়ে খুনোখুনি, চোপড়ায় এক তৃণমূলকর্মীর হাতে খুন অন্য জন!
Uttar Dinajpur News:চোপড়ার দিঘাপানার ঘটনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বুথ কমিটির বৈঠক চলছিল।
চোপড়া: দিন ক্ষণ ঘোষণা হয়নি এখনও। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) যত এগিয়ে আসছে, ততই পারদ চড়ছে রাজ্য়ে। এ বার চোপড়ায় ভরদুপুরে গুলি চলল। তাতে তৃণমূলেরই এক কর্মীর বিরুদ্ধে অন্য এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল। ছররা গুলিতে আরও যে চার জন আহত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যেও একজন মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। নির্বাচনী টিকিট বিলি নিয়ে বচসা এবং তা থেকেই রক্তারক্তিকাণ্ড এবং খুনের ঘটনা বলে জানা গিয়েছে (Chopra Shootout)।
চোপড়ার দিঘাপানার ঘটনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে তৃণমূলের (TMC) দলীয় কার্যালয়ে বুথ কমিটির বৈঠক চলছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে হচ্ছিল বৈঠক। সেই বৈঠকে টিকিট বিলি নিয়ে মতান্তর দেখা দেয়। বিশেষ করে দিঘাপানা বুথে কে প্রার্থী হবে, তা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। তার পর তুমুল বচসা বাধে। বৈঠক শেষেও সেই ক্ষোভ মেটেনি এবং এক পক্ষ, অন্য পক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৈঠক শেষে তৃণমূল কর্মীরা যখন দলীয় কার্যালয় থেকে বেরোচ্ছিলেন, সেই সময় ছররা গুলি ছোড়া হয় এলোপাথাড়ি। তাতে ফইজুল রহমান নামের বছর ৭০-এর এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। সোজা বুকে গুলি লাগে তাঁর। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। তাঁর দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। এই ঘটনায় আরও তিন জন জখম হন। তাঁদের চোপড়ার স্থানীয় স্বাস্থ্য়কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: Chopra Shootout: পার্টি অফিস থেকে বেরোতেই বুকে বিঁধল গুলি, ভরদুপুরে চোপড়ায় খুন তৃণমূলকর্মী
উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, "বৈঠকে আলোচনা চলছিল। বচসা বাধে। তাতে তিন জন আহত হন। এর আগে ১৭ তারিখের বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছিলেন, প্রার্থী কে হবেন দল ঠিক করবে। তাহলে তো বৈঠকের প্রয়োজনই ছিল না! বিশদ জানি না এখনও। তাই বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে অবশ্যই দুঃখনক ঘটনা। দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব আমি।"
এ নিয়ে রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, "আমি পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রথম দিন থেকে বলছি,গত বার বিরোধীদের শেষ করতে যে অস্ত্রে শান দিয়েছিল তৃণমূল, এ বার সেই শাণিত অস্ত্রে নিজেই মরবে। বহু আগে থেকে এটা বলছি আমরা। বাংলায় সন্ত্রাস এবং লুটের রাজনীতির আমদানি করেছে তৃণমূল। তার বলি হতে হবে তাদের নিজের দলের লোকককেই। এই তো শুরু! নির্বাচনের আগে নিজেদের মধ্যে কী ভাবে রক্তের হোলি খেলা চলে দেখুন।" পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণার আগে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাতেও।