Uttar Dinajpur News: ভরা বাজারে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে অঘটন, আহত পাঁচ শিশু-সহ ২৫
Raiganj Cylinder Blast Injured 25 : সোনার দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা উত্তর দিনাজপুরে..
সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: সোনার দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আহত পাঁচ শিশু সহ ২৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে ডালখোলা থানার খুদুরগাছি এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর জখন অবস্থায় তাদেরকে প্রথমে করণদিঘী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিয়ে আসা হয়েছে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে। এদিকে এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডালখোলা থানার পুলিশ ও দমকল বাহিনী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডালখোলা থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডালখোলা থানার খুদুরগাছি এলাকার একটি মার্কেটে জিরা সিংহের একটি সোনার দোকানে আচমকাই গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডালখোলা থানার পুলিশ ও দমকল বাহিনী। তড়িঘড়ি জখমদের উদ্ধার করে প্রথমে করণদিঘী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। দশ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁদেরকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডালখোলা থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জিরা সিংহের সোনার দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যায়। সে সময় ওই মার্কেটে প্রচুর মানুষ ছিলেন। ওই সিলিন্ডার ফেটে ২৫ জনের মতো গুরুতর জখম হন।
সম্প্রতি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মুখোমুখি হয়েছিল মহেশতলা। যার ফলে জখম হয়েছিলেন ৪ জন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় একটি চারতলা বাড়ির একাংশ উড়ে গিয়েছিল। ভেঙে গিয়েছিল আশেপাশের বাড়ির জানলার কাঁচ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় ,আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছিল দমকলের ৩টি ইঞ্জিন।ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। ধূপ জ্বালানোর সময় আগুনের ফুলকি ছিটকে সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ হয়েছিল বলে দাবি।
আরও পড়ুন, TMC কাউন্সিলরদের কাছে টাকা চাওয়া হচ্ছে তাঁর নাম করে ! সাইবার ক্রাইমে গৌতম দেব
এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি বেলেঘাটার চাউলপট্টি রোডেও ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপরেই হয় পরপর সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের আওয়াজে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। আগুনে পুড়ে যায় একটি বাড়ি। ওই বাড়িতে ৬টি পরিবার থাকত। তবে সবাইকেই নিরাপদে বাড়ির বাইরে বার করা হয়েছিল সেদিন। যদি সেই আগুন থেকে মুক্তি পায়নি আশেপাশের বাড়ি গুলিও। দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের ৬টি ইঞ্জিন বহু চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। তবে আনন্দপুর, নারকেলডাঙা, তালতলা, লেক অ্য়াভিনিউ-সহ একাধিক জায়গায় মর্মান্তিক ঘটনার পরেও যবনিকা পড়েনি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।