Firhad Hakim: ‘মৃত্যুর পর বিচার পেয়েছিলেন রাজীব গাঁধী, আমারও তাই হবে’, আদালতকেও প্রশ্ন ফিরহাদের
CBI Raids in Kolkata: তল্লাশি সেরে CBI বেরিয়ে যাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ফিরহাদ।
কলকাতা: টানা সাড়ে ন'ঘণ্টা ধরে গোটা বাড়ি তল্লাশি। পাসপোর্ট, দলিল সবের প্রতিলিপি গ্রহণ। কেন এভাবে বার বার তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে, প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad hakim)। পৌরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাদের আধিকারিকরাই এদিন ফিরহাদের বাডিতে দিনভর তল্লাশি চালান। সেই প্রসঙ্গে এবার দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর কথাও টেনে আনলেন ফিরহাদ। (CBI Raids in Kolkata)
তল্লাশি সেরে CBI বেরিয়ে যাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ফিরহাদ। সেখানেই ফুঁসে ওঠেন তিনি। বলেন, "অনেক দিন হয়েছে বাংলার রাজনীতিতে। তাই আমি প্রশ্ন করছি, আমি কি চোর? আমি কি চুরে করেছি? বার বার করে কেন এই হেনস্থা? বিজেপি-র মতাদর্শের সামনে মাথানত করব না, ওদের খাতায় গিয়ে নাম লেখাব না, তাই আমাকে হেনস্থা, আমার পরিবারকে হেনস্থা। কখনও গ্রেফতার করে নিয়ে চলে যাচ্ছে, কখনও সারাদিন ধরে বাড়িতে তল্লাশি। আজ আমার ভাইয়ে শ্রাদ্ধ। সেখানে যেতে দেওয়া হল না। কী অপরাধ করেছি?"
পৌরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখছে CBI. কিন্তু এর নেপথ্য়ে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র যে রয়েছে, এদিন তা ফের তুলে ধরেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, "একবার হয়েছে নারদের সময়। ভাবলাম আদালতে বিচার পাব। কিন্তু সেখানে হবে না। কারণ একতরফা গ্রেফতারি হয়েছে। শুভেন্দু একই মামলায় আসামি। সে গ্রেফতার হয়নি। কোনও দিন চার্জশিট গঠন হবে না, বিচার পাব না। কোনও দিন. হয়ত রাজীব গাঁধীর মতো যেদিন মারা যাব, তার পর যেমন বোফোর্স মামলায় বিচার পেয়েছিলেন উনি, আমিও হয়ত তেমনই পাব। কিন্তু আমার পরিবারকে হেনস্থা করা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: Firhad Hakim: ‘ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন সুজন, বিকাশ, দিলীপ, বলুন আমি চোর’! চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন ফিরহাদ
রাজ্যে যখন বামফ্রন্টের সরকার ছিল, তখনও মামলা হয়েছে, মার খেয়েছেন। কিন্তু পরিবারকে এভাবে হেনস্থা করা হয়নি বলে এদিন মন্তব্য করেন ফিরহাদ। তিনি জানান, বিজেপি-র সামনে নিজের আদর্শ, নীতির সঙ্গে কখনও আপস করবেন না তিনি। প্রয়োজনে তাঁকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু দিনের পর দিন এভাবে অপমান, সম্মানহানি বন্ধ হোক।
ফিরহাদ জানান, এদিন তাঁর বাড়ির উপর এবং নীচের তলায় তল্লাশি চালায় CBI. বাড়ির দলিল থেকে পাসপোর্ট সবকিছুর প্রতিলিপি নেয়। কিন্তু কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি তাঁকে। পৌরসভায় নিয়োগের কোনও ফাইলই পৌরমন্ত্রীর হাতে আসে না। সেখানে কোথায় তাঁর সঙ্গে সংযোগ খুঁজে পাওয়া গেল, জানতে চান। কেন আদালত সেই প্রশ্ন করবে না, প্রশ্নও তোলেন।