Berhampore Municipal Poll Result 2022: বহরমপুরে পুরভোটে কার্যত নিশ্চিহ্ন বিজেপি, হারলেন বিধায়ক সুব্রত মৈত্রও
WB Municipal Election/Poll Result 2022:এর আগেও কয়েকবারই বহরমপুর পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন সুব্রত মৈত্র। প্রথমে কংগ্রেস এবং পরে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯-এ বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সুব্রত মৈত্র।
বহরমপুর (মুর্শিদাবাদ): বহরমপুর পুরসভার (Berhampore Municipal Poll Result 2022) ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে পরাজিত বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র (BJP MLA Subrata Maitra)। শুধু হারই নন, তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। এই ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী গৌতম সরকার। এই ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস (Congress)।
সুব্রত মৈত্রকে প্রার্থী করে বহরমপুর পুরসভার ভোটের আগে চমক দিয়েছিল বিজেপি। সরাসরি ঘোষণা না করলেও কার্যত তাঁকে সামনে রেখেই ভোটে লড়াইয়ের কৌশল নেয় বিজেপি। বিগত পুর নির্বাচনেও জয়ী হয়েছিলেন তিনি। এর আগেও কয়েকবারই বহরমপুর পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন সুব্রত মৈত্র। প্রথমে কংগ্রেস এবং পরে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯-এ বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সুব্রত মৈত্র। গত বছরের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য়, এবার তাঁকে প্রার্থী করে লড়াইটা তৃণমূল শিবিরে পৌঁছে দিতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেই কৌশল সফল হল না।
উল্লেখ্য, এবারের পুরভোটে মুর্শিদাবাদের এই অধীর-গড়ে ধস নামল। তিনদশক পর বহরমপুর পুরসভা হাতছাড়া কংগ্রেসের। ২৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল ১৮, কংগ্রেস ৬টিতে জয়ী হয়েছে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন বহরমপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়। ২০১৫-র পুরভোটে কংগ্রেস ২৬ ও তৃণমূল ২টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়। দলবদলের কারণে পরে বোর্ড গড়ে তৃণমূল। যদিও একুশের বিধানসভা ভোটের পুরসভাভিত্তিক ফলের নিরিখে বিজেপি এগিয়ে ছিল ২৭টি ওয়ার্ডে, তৃণমূল ১টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল। কিন্তু এবার পুরভোটে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বিজেপি।
এদিন ফলাফল প্রকাশ পেতেই গড় হারিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লুটের অভিযোগ এনেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে অধীর বলেন, " কেউ জিততেন, কেউ হারতেন, এটাই হত। আপনি তো জিততেনই। আমরা আগেই বলেছি আপনিই জিতবেন। আমরা এর আগে বলেছিলাম নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করতে দিন। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সেই স্বীকৃতি দিলেন না। তৃণমূলের নেত্রী হলেও সন্ত্রাস, লুট, রাহাজানি, দুর্নীতি, পুরনো অভ্যাস ছাড়তে পারছেন না।"