Education Policy: জাতীয় শিক্ষানীতি হুবহু মানছে না রাজ্য, মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক থাকছে আগের মতোই
West Bengal Education Policy: কিছুদিন আগেই রাজ্যের বিকল্প শিক্ষানীতির খসড়া অনুমোদন পেয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এবার, গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: যেমন আছে, তেমনই থাকছে মাধ্যমিক (Madhyamik), উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary)। প্রাথমিক শিক্ষায় (Primary Education) প্রথম দু-বছর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ি। উচ্চ প্রাথমিকে ত্রি-ভাষা নীতি। উচ্চ মাধ্যমিকে সিমেস্টার। জাতীয় শিক্ষানীতির প্রেক্ষাপটে বিকল্প শিক্ষানীতি প্রকাশ করল রাজ্য সরকার।
ইতিমধ্যেই জাতীয় শিক্ষানীতি প্রকাশ্যে এনেছে মোদি সরকার। রাজ্য সরকারগুলিকে তা গ্রহণ করতে আর্জিও জানিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই শিক্ষাবিদদের নিয়ে কমিটি তৈরি করে জাতীয় শিক্ষানীতি পর্যালোচনা করে, রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিকল্প শিক্ষানীতি ঘোষণা করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
কিছুদিন আগেই রাজ্যের বিকল্প শিক্ষানীতির খসড়া অনুমোদন পেয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এবার, গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল। রাজ্যের বিকল্প শিক্ষানীতিতে, স্কুল স্তরে থাকছে ৫+৪+২+২ কাঠামো। অর্থাৎ, এক বছরের প্রাক্ প্রাথমিক সঙ্গে চার বছরের প্রাথমিক। তারপর পঞ্চম থেকে অষ্টম পর্যন্ত চার বছরের উচ্চ প্রাথমিক। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক যেমন ছিল তেমনই থাকছে। গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে এই কাঠামো ছবি আকারে তুলেও ধরা হয়েছে।
রাজ্যের বিকল্প শিক্ষানীতিতে শুধুমাত্র পরিবর্তন হয়েছে, প্রাথমিককে প্রথম দু বছর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্তি। উচ্চ প্রাথমিকের ক্ষেত্রে থাকবে ত্রি-ভাষা নীতি। প্রথম ভাষা মাতৃভাষা. দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে নেওয়া ইংরেজি, এবং তৃতীয় ভাষা হিসেবে যে কোনও একটি নেওয়া যেতে পারে।
সরকারের কাছে কমিটির সুপারিশ, মাধ্যমিক স্তরে উপযুক্ত কেরিয়ার কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা হোক। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে চালু হচ্ছে সিমেস্টার। প্রশ্নপত্রে বর্ণনামূলকের পাশাপাশি থাকছে MCQ। থাকছে ছাত্রছাত্রীদের ইন্টারশিপ প্রোগ্রামের সুযোগও। সূত্রের খবর, ২০২৬ থেকে এরাজ্যেও ২টি সেমিস্টারে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।
উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে ইতিমধ্যেই চার বছরের অনার্স কোর্স চালু করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, কেন্দ্রের আদলে রাজ্যের নিজস্ব গবেষণা তহবিল তৈরির কথাও বলা হয়েছে, বিকল্প শিক্ষানীতিতে।
সুপারিশে বলা হয়েছে, রাজ্যের এই চলতি কাঠামোর বদল হলে শুধু বেশি টাকা খরচ হবে, শিক্ষার মানেরও ক্ষতি হবে। রাজ্যের বিরোধিতার সুর ছিল সপ্তমে। যুগ্ম তালিকায় শিক্ষা কেন চাপিয়ে দেবে কেন্দ্র? এই বিরোধিতার জায়গা থেকেই এরাজ্যের বিকল্প শিক্ষানীতির ভাবনা। ১৭৮ পাতার রাজ্যের সেই নিজস্ব শিক্ষানীতি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে এসেছে।