West Bengal: আচার্যর পর এবার কি ভিজিটর পদ থেকেও সরানো হবে রাজ্যপালকে? মিলেছে নবান্নের সবুজ সঙ্কেত
West Bengal Education: মিলেছে নবান্নের সবুজ সঙ্কেত, খবর সূত্রের। আগামী দিনে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করছে রাজ্য, খবর সূত্রের।
কলকাতা: আচার্যর পর এবার কি ভিজিটর পদ থেকেও সরানো হবে রাজ্যপালকে (Governor)? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর পদ থেকে সরানো হচ্ছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে (Jagdeep Dhankhar)? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর হচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)? মিলেছে নবান্নের সবুজ সঙ্কেত, খবর সূত্রের। আগামী দিনে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করছে রাজ্য, খবর সূত্রের।
এদিকে এই ঘটনায় দিলীপ ঘোষ বলেন, "সরকার যদি সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে চাই। সেটা তো ভালই। আমি জানি না তাঁদের ওপর খবরদারি করার জন্য এই ব্যবস্থা হচ্ছে কি না। অনেক বেসরকারি কলেজে সমস্যাও আছে। সেগুলি দেখার দরকারও আছে।"
আরও পড়ুন, ‘এমন কিছু করিনি, যাতে লজ্জায় মাথা ঝুঁকে যায়’, রাজকোটের র্যালি থেকে জানালেন মোদি
অন্যদিকে শিক্ষাবিদ অমল মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমরা কালকেই এমন আশা করেছিলাম যে এই পদক্ষেপ শীঘ্রই নেওয়া হতে পারে। রাজ্যপালকে বর্তমান সরকার ব্রাত্য করে রাখবেন, ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখবেন এটাই ছিল উদ্দেশ্য। এই ধরনের পদক্ষেপ কিন্তু সর্বনাশা পদক্ষেপ। মুখ্যমন্ত্রী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হলে সেখানে সরাসরি রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটবে। এবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ভিজিটর হলে এখানেও রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটবে। শিক্ষার সর্বনাশ হবে।"
শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, "পুরোটাই দল ও প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার গণতান্ত্রিক বিষয়টিকেও নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এর ফলে বাংলার শিক্ষার পক্ষে এটি নেতিবাচক সিদ্ধান্ত হতে চলেছে।"
সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তবে রাজ্য সরকার যে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল মাস ছয়েক আগেই। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল অনুমতি না পেলে অর্ডিন্যান্স আনতে পারে রাজ্য সরকার। এর আগে উপাচার্যদের রাজভবনে ডেকে পাঠানো নিয়ে, সংঘাতে জড়িয়েছিল রাজ্য সরকার ও রাজ্যপাল। এবার সেই সংঘাতের পারদ আরও চড়ল।