IIT Kharagpur: রাতে শেষবার কথা, ফোনে না পেয়ে খড়গপুরে IIT-তে পৌঁছলেন মা-বাবা, হস্টেলের দরজা ভাঙতেই..
IIT Kharagpur Student Death Mystery: খড়গপুরে IIT-এর হস্টেল থেকে উদ্ধার কলকাতার বাসিন্দার

বিশ্বজিৎ দাস,পশ্চিম মেদিনীপুর: খড়গপুরে IIT-তে ফের ছাত্রের রহস্যমৃত্যু। ফের মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখি দেশের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যু। হস্টেল থেকে উদ্ধার কসবার বাসিন্দা শাওন মল্লিকের ঝুলন্ত দেহ।গতকাল রাতে মায়ের সঙ্গে শেষবার কথা শাওন মল্লিকের। সকাল থেকে ফোনে না পেয়ে খড়গপুরে IIT-তে পৌঁছন ছাত্রের মা-বাবা। হস্টেলের ঘরের দরজা ভেঙে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার।
খড়গপুর আইআইটিতে ফের ছাত্রের রহস্যমৃত্য! ক্যাম্পাস থেকেই উদ্ধার হল ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। মেধাবী পড়ুয়াদের পীঠস্থানে ফিরল ২ বছর আগে আরেক পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর স্মৃতি। সপ্তাহান্তে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শেষ দেখা দেখতে হল মা-বাবাকে। বছর ২১ এর পড়ুয়া শাওন মল্লিক। খড়গপুর আইআইটি-র ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বাড়ি কলকাতার কসবায়। সেখানে আজাদ হলে ২২৬ নম্বর রুমে থাকত শাওন।
শনিবার রাতে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথাও হয়। আর পাঁচটা রবিবারের মতো, এদিনও ছেলের সঙ্গে দেখা করতে খড়গপুর আইআইটি-র ক্যাম্পাসে যান শাওনের মা বাবা। ক্যাম্পাস থেকেই ছেলেকে ফোন করেন। ফোন ধরেনি শাওন। সোজা হস্টেলে ছুটে যান তাঁর মা-বাবা। হস্টেল কর্মী ও অন্যান্য আবাসিকদের সহায়তায়, এরপর দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় শাওনের ঝুলন্ত দেহ। বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অত্যন্চত মেধাবী এই ছাত্রর এমন পরিণতি কীভাবে হল, তা নিয়ে সংশয়ে অধ্যাপকরাও।
খড়গপুর আইআইটি ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর অমিত পাত্র বলেন, টপার্স। নাটক করত। মাস্টারমশাইদের সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক। প্রজেক্টও অফার করেছিলেন। কারোর সাথে কখনও দুঃখের কোনও কথা শেয়ার করেনি। আস্তে আস্তে সবার সাথে কথা বলতে হবে। আর শাওনের এই রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় বারবার করে ফিরে আসছে গৌহাটির ফয়জনের স্মৃতি। ২০২২ -এর ১১ অক্টোবর থেকে খড়গপুর IIT-র তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ফয়জান আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। ঘটনাচক্রে সেই সময়ই তাঁর রুমমেট ঘরে ছিলেন না।
৩ দিন পর, ১৪ অক্টোবর সেই রুমমেট ফিরে ঘরের দরজা খোলেন। তখনই দেখা যায় ঘরের ভিতরে পড়ে রয়েছে ফয়জানের মৃতদেহ। রহস্য়জনকভাবে দেহে পচন ধরলেও কোনও দুর্গন্ধ বেরোয়নি। প্রথম ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে আত্মহত্যার তত্ত্ব উঠে এলেও...খুন করা হয়েছে মেধাবী ফয়জানকে, এই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নিহত পড়ুয়ার পরিবার।
আরও পড়ুন, 'জঙ্গলে লাল পিঁপড়ে সংগ্রহ করতে গিয়ে পাশেই বাঘ..' !
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অসমের কবর থেকে মৃতদেহ তুলে এনে কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজের পুলিশ মর্গে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত পর্যন্ত হয়। এরপর, গত বছরও খড়গপুর আইআইটির লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হল থেকে উদ্ধার হয় তেলেঙ্গানার বাসিন্দা, ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রের দেহ। আর এবার, কলকাতার শাওনেরও রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘটল সেই খড়গপুর আইআইটির ক্যাম্পাসেই।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
