Lakshmi Bhandar Scheme: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন নিয়ে নয়া নির্দেশ মমতার, কবে থেকে পাওয়া যাবে সুবিধা?
West Bengal Lakshmi Bhandar Scheme: মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষকে আনা হয়েছে। ৪ হাজার ৭৩ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে।"
কলকাতা: নেতাজি ইন্ডোরে বৃহস্পতিবার আইএএস, আইপিএসদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররা। বিভিন্ন কমিশনারেটের পুলিশ সুপাররাও নেতাজি ইন্ডোরের এই বৈঠকে যোগ দেন। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথাও বলেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে। সেখান থেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে রাজ্যবাসীকে বার্তা দেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষকে আনা হয়েছে। ৪ হাজার ৭৩ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে। যারা বাকি আছেন, আগামী দুয়ারে সরকার যখন হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তখন নিজেদের নামগুলো লিখিয়ে নেবেন। কারো কোনও ত্রুটি থাকলে সেগুলি দরখাস্ত করে ঠিক করে নেবেন।" প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত তপশিলি জাতি-উপজাতি মহিলাদের জন্য মাসে ১০০০ টাকা ও সাধারণ মহিলাদের জন্য মাসে ৫০০ টাকা করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ২৫ থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন, দুয়ারে সরকারে এবার আরও নতুন পরিষেবা, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য ব্যাঙ্কে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকলেই আবেদন করা যেত। কিন্তু এর আগেই জারি হওয়া নয়া নিয়মে বলা হয়েছিল আর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট নয়, শুধুমাত্র সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট থাকলে তবেই এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন আবেদনকারীরা।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মানুষের সব অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। কাজের নিরিখে পূর্ব বর্ধমান, বীরভূমের মত কিছু জেলা পিছিয়ে। পঞ্চায়েত দফতরের কাজে আরও জোর দিতে হবে। ১০০ দিনের কাজে আরও জোর দিতে হবে। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় কাজ দ্রুত গতিতে হচ্ছে না কেন? আলিপুরদুয়ার ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা থেকে বেশি অভিযোগ আসছে। পশ্চিম বর্ধমান সব ব্যাপারে পিছিয়ে থাকে কেন? সীমান্ত এলাকায় কেউ কেউ পয়সা তুলছে, এটা চলবে না। সীমান্ত এলাকায় গোটা দায়িত্ব পরিবহণ দফতরকে দেওয়া হচ্ছে। ৭ তারিখের মধ্যে পরিবহণ দফতর যেন পুরো দায়িত্ব নিয়ে নেয়। যা আয় হবে, তা ট্রেজারিতে জমা হবে। সরকারের প্রকল্পে কাজে লাগবে।’