Saline Controversy : ভুলের দায় চিকিৎসকদের নয়? কী বলছে মেদিনীপুর মেডিক্যালের মৃতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট?
চিকিৎসকরা বলছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই স্পষ্ট, বাইরে থেকে কোনও কিছুর মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ভুলের দায় চিকিৎসকদের নয়।

কলকাতা : মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন-কাণ্ডে প্রসূতি মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ সেপটিক শক। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তেমনই বলা হয়েছে। মামনি রুইদাসের শরীরের বেশ কিছু অংশে জল জমেছিল, তার থেকেই এক একে বিকল হয়ে যায় এক-একটি অর্গ্যান। তার কারণেই সেপটিক শক হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই স্পষ্ট, বাইরে থেকে কোনও কিছুর মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ভুলের দায় চিকিৎসকদের নয়।
তাহলে কি এর মূলে রয়েছে নিষিদ্ধ স্য়ালাইনই ? চিকিৎসক অজয় সরকার জানিয়েছেন, রিঙ্গার ল্যাকটেটটাই হয়তো কারণ হতে পারে। তিনি কেমিক্যাল অ্যানালিসিস করে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন। চিকিৎসকের মতে , কেমিক্যাল অ্যানালিসিস হলেই তাতে টক্সিক মেটিরিয়াল আছে কি না তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
স্যালাইনকাণ্ডে SSKM হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও ৩ প্রসূতি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সংক্রমণের কারণে তাঁদের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া নষ্ট হয়ে গেছে। ফুসফুস ও কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ‘দূষিত’ স্যালাইনেই লুকিয়েছিল বিপদ? দোসর অক্সিটোসিন ইঞ্জেকশন? স্যালাইন এবং ওষুধের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ।
সূত্রের খবর, স্য়ালাইনকাণ্ডের তদন্তে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, যেদিন অস্ত্রোপচার হয়, সেদিন রাতে স্ত্রীরোগ বিভাগে ডিউটিতে ছিলেন একজন সিনিয়র RMO। CC ক্যামেরায় তাঁকে অপারেশন রুমে ঢুকতে দেখা গেলেও, সূত্রের দাবি, তিনি অপারেশন করেননি। অস্ত্রোপচার করেন পোস্ট গ্র্য়াজুয়েট ট্রেনিরা। এই প্রেক্ষাপটে সোমবার মেদিনীপুর মেডিক্য়ালের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি হয়। সেখানে বলা হয়, PGT বা জুনিয়র চিকিৎসকরা একা কোনও সার্জারি করতে পারবেন না।
অন্যদিকে, স্যালাইনকাণ্ড নিয়ে আজ মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে CID । মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে তদন্তে করেন DSP পদমর্যাদার এক অফিসার। তিনি RMO, ২ জন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক, চারজন নার্স, সুপার ও অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট জমা করেন। সূত্রের খবর, অস্ত্রোপচারের সময় সিনিয়র ডাক্তার ছিলেন কি না, অস্ত্রোপচার জুনিয়র ডাক্তাররা করেছিলেন কি না, কোনও গাফিলতি ছিল কি না, তার উল্লেখ রয়েছে CID রিপোর্টে।
এরপর বৃহস্পতিবার সব হাসপাতালে রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে , বলে নির্দেশ দেয় আদালত। যারা এই ওষুধ ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে দিতে হবে ক্ষতিপূরণ, পর্যবেক্ষণে জানায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে স্যালাইন সরবরাহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে? আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন :
গভীর রাতে সইফ আলি খানের ওপর হামলা, বাড়িতেই আক্রান্ত অভিনেতা






















