Ayodha Ram Mandir : রাম গড়লেন 'রহিম', অযোধ্যায় বসছে বাংলার জামালউদ্দিনের গড়া মূর্তি
Mohammed Jamaluddin : শিল্পী জামলউদ্দিন বলেছেন, একজন শিল্পী হিসাবে এর থেকে আর বেশি কি চাওয়ার থাকতে পারে। এসব জাত-পাত বুঝিনা।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, উত্তর ২৪ পরগনা : তাঁর হাতে গড়া রামের মূর্তি জায়গা পেতে চলেছে অযোধ্য়ায় (Ayodha Ram Mandir)। উচ্ছ্বসিত দত্তপুকুরের মহম্মদ জামালউদ্দিন (Mohammed Jamaluddin)। তাঁর গড়া মূর্তির দেশ-বিদেশে পাড়ি দিয়েছে। কিন্তু যখন রামের মূর্তি গড়ার অর্ডার পেয়েছিলেন, তখন শিল্পী জানতেন না, কোন চমক অপেক্ষা করে আছে তাঁর জন্য়।
অযোধ্য়ার রামমন্দিরে (Ram Temple) জায়গা পেতে চলেছে দত্তপুকুরের সেই মহম্মদ জামালউদ্দিনের বানানো রামের মূর্তি। রাম বানানোর কারিগর 'রহিম' তথা শিল্পী জামলউদ্দিন বলেছেন, একজন শিল্পী হিসাবে এর থেকে আর বেশি কি চাওয়ার থাকতে পারে। এসব জাত-পাত বুঝিনা। আমার মূর্তি যদি রাম মন্দিরে স্থান পায় এর থেকে বেশি আনন্দের আর কিছু নেই।
উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের দিঘার মোড়ে জামালউদ্দিনের ফাইবার গ্লাসের ফ্য়াক্টরি। মাটি থেকে ফাইবার গ্লাস, তাঁর হাতের কাজের সুখ্য়াতি বহুদূর। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাজের অর্ডার আসে। তেমনই ২০২২-এর জুন-জুলাই মাসে উত্তরপ্রদেশ থেকে ২ জন আসেন। ১৬ ফুট হাইটের রামের মূর্তির অর্ডার দেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য়ে ঠিক যেমনটা চেয়েছিলেন, তেমন মূর্তি পেয়ে খুশি হন ক্রেতারা। নিজেরাই গাড়িতে করে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যান।
এরপর এবছরের এপ্রিলে আসে এরকম আরও ২ টি রামের মূর্তির অর্ডার। তবে এই অর্ডার ছিল একটু আলাদা ধরনের। মূর্তি তৈরিতে সময় লাগে প্রায় দেড় ১ মাস। জামালউদ্দিনরা তখনও জানতেন না, তাঁদের হাতে কী ইতিহাসের সৃষ্টি হল। জামালউদ্দিল বলছিলেন, কীসের জন্য মূর্তি তৈরি করাচ্ছেন, তা নিয়ে আমাদের কখনও কথা হয়নি। ওঁরা অর্ডার দিয়েছেন আমরা তৈরি করে দিয়েছি। নাম, ফোন-নম্বর আমাদের কাছে কিছুই নেই। কারণ এসব আমরা এতটা রাখি না। পরে উত্তরপ্রদেশের সংবাদপত্রের প্রকাশিত হয় যে আমাদের তৈরি এই মূর্তি রাম মন্দিরে স্থান পাবে। এই খবর শুনে আমরা রীতিমতন উৎসাহী। কত মানুষ আসবেন আমাদের তৈরি মূর্তিটা দেখবেন।
শুধু শ্রষ্টাই নন এই খবরে উচ্ছ্বসিত জামালউদ্দনের ফ্য়াক্টরির অন্য় কারিগররাও। যেমন মহম্মদ শরিফুল বলছিলেন, আমার দায়িত্ব ছিল রং তৈরি করার। আমি রঙের কাজ করেছি। খুব আনন্দ পেয়েছি কাজ করে। এখন তো শুনছি এই মূর্তি রাম মন্দিরে যাবে। আবার অন্য কারিগর বাবলু দত্তর কথায়, আমিও এই মূর্তি তৈরি কাজের সঙ্গে ছিলাম। মূর্তি ঘষা সব রেডি করা। আমি শুনেছি এই মূর্তি রাম মন্দিরে যাবে। আমি খুব খুশি। প্রসঙ্গত, আগামী ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করবেন অযোধ্যা রাম মন্দিরের। যেখানে শোভা পাবে বাংলার জামালউদ্দিনের গড়া মূর্তি।
আরও পড়ুন- চেহারা বদলের মজার ট্রেন্ড না ফাঁদ ! স্বেচ্ছায় ব্যক্তিতথ্যের আগল খুলে অজান্তেই ডাকছেন বিপদ
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে