West Midnapore News: শিলাবতীর জল বেড়ে ঘাটালের একাধিক এলাকা প্লাবিত, ভোগান্তির মুখে আরও কারা ?
West Midnapore Flood situation: আগামী ২৪ ঘণ্টার আগে আবহাওয়ার বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই, এহেন পরিস্থিতিতে প্রবল বর্ষণের মাঝে শিলাবতী নদীর জল বেড়ে কোন কোন এলাকা প্লাবিত ? দেখুন একনজরে।
পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রবল বর্ষণে (Heavy Rain) ইতিমধ্য়েই একাধিক জেলা চরম ভোগান্তিতে। তার উপর ডিভিসির জল ক্রমাগত ছাড়তেই একাধিক এলাকায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এদিকে শুধু এবছরই নয়, প্রায় অধিকাংশ বছরই এই কারণে প্রায় বন্যা পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় রাজ্যের একাধিক জেলাগুলিকে। এবারও তার বিরাম নেই। ক্ষতিগ্রস্থ জেলার মধ্যে হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। এদিকে বিপদের মুখে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ব্লকও (Ghatal,West Midnapore)।
ঘাটাল ব্লকের অধিকাংশ এলাকায় প্লাবিত
শেষ অবধি পাওয়া খবরে, জানা গিয়েছে, শিলাবতী নদীর জল বেড়ে ঘাটাল ব্লকের অধিকাংশ এলাকায় প্লাবিত। পুরসভার ১৩টি ওয়ার্ডের পাশাপাশি পুর এলাকাতেও জল ঢুকেছে। প্লাবিত হয়েছে দাসপুর, চন্দ্রকোণার একাধিক এলাকা। মূলত হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে। এদিকে শনিবারের আগে আবহাওয়ার বদলের তেমন কোনও সম্ভাবনার কথাও শোনায়নি আবহাওয়া দফতর। আর সেই হাওয়া অফিসের সেই পূর্বাভাস মিলেও গিয়েছে।
ডিভিসি'র জল ছাড়ায় ফুঁসছে দামোদর
অপরদিকে, ডিভিসি'র জল ছাড়ায় দামোদরের জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে। যতক্ষণ বৃষ্টির পরিমাণ না কমছে, ততক্ষণ এই জল ছাড়ার পরিমাণ কমবে না বলেই খবর। একদিকে দক্ষিণবঙ্গে লাগাতার বর্ষণ। অন্যদিকে ঝাড়খন্ডেও ব্যপক বৃষ্টি। ফলে দামোদর জলাধার থেকে ক্রমাগত জল ছাড়ায় দামোদরে জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে। ব্লক থেকে জেলাস্তরে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।দামোদর নদ তীরবর্তী গ্রামগুলোতে জল ছাড়ার সর্তকবার্তা জানিয়ে করা হচ্ছে মাইকিং।
আরও পড়ুন, ৩ দিন পার, সিকিমে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, আতঙ্কে বাঁকুড়ার পরিবার
প্রসঙ্গত, অপরদিকে চরম দুর্যোগের মুখে সিকিমও। বুধবার ভোরের দিকে সিকিমের লোনাক হ্রদের মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে যে হড়পা বান এসেছিল, তার জেরে ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে হিসেব এখনই করা অসম্ভব। আপাতত শক্তিমন্ত্রক জানিয়েছে, বন্যার জলস্তর কিছুটা নামলে সিকিমের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষতির পরিমাণ বিশদে খতিয়ে দেখবে। তবে সিকিমের অন্যতম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র NHPC-র তরফে আপ্রাণ চেষ্টা চলছে, যত দ্রুত তার কাজকর্ম ফের শুরু করা যায়। এখনও পর্যন্ত যা শোনা যাচ্ছে, তাতে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ বিপদগ্রস্ত হয়েছেন বলে প্রশাসনের আশঙ্কা। যদিও এঁদের মধ্যে মেরেকেটে ২ হাজারের মতোকে উদ্ধার করা গিয়েছে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এসবের মধ্য়ে আশার ক্ষীণ আলো দেখিয়েছে একটি খবর। সিকিমের মুখ্যসচিব ভি বি পাঠকের দাবি, সেনার ২৭তম মাউন্টেন ডিভিশনের আধিকারিকরা তাঁকে জানিয়েছেন যে লাচেন, লাচুং এবং উত্তর সিকিমের বাকি লাগোয়া এলাকাগুলিতে যে পর্যটকরা আটকে পড়েছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকে নিরাপদ রয়েছেন।