West Midnapore News: যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে আচমকাই ধোঁয়া, তীব্র চাঞ্চল্য রাজ্য সড়কে
Bus Smoke: যাত্রীবাহী চলন্ত বাস থেকে আচমকাই ধোঁয়া বেরাতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় রাজ্য সড়ক।

সৌমেন চক্রবর্তী,পশ্চিম মেদিনীপুর: ফের অঘটন যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে। যাত্রীবাহী চলন্ত বাস (Bus) থেকে আচমকাই ধোঁয়া (Smoke) বেরাতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় রাজ্য সড়ক। যাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore) জেলার আনন্দপুর থানার কেশুরগেড়িয়া এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর-পলাশচবড়ী রুটের জননী নামের একটি বাস মেদিনীপুর থেকে চন্দ্রকোনার দিকে যাচ্ছিল। কেশুরগেড়িয়ায় রাজ্য সড়কের উপর ব্রীজ পার হওয়ার সময় আচমকাই ওই বাসের ভিতর থেকে প্রচন্ড পরিমাণে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গেই ব্রীজের উপর বাস দাঁড় করিয়ে দেয় চালক। বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীদের। যদিও ঘটনায় কারও হতাহতের খবর মিলেনি। বাস ওনার্স এসোসিয়েশানের বক্তব্য,'বাসের টেকনিক্যল সমস্যার জন্য এই ঘটনা ঘটে।'
জানুয়ারির শুরুতেই চলন্ত গাড়িতে আগুন ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কাঁকুড়গাছি এলাকায়। বিকেল ৫টা নাগাদ মানিকতলা (Maniktala) থেকে বাইপাসের (Bypass) দিকে যাচ্ছিল গাড়িটি বলে যায়। সেই সময় কাঁকুড়গাছি এলাকার কাছে গাড়িতে আগুন লেগে যায়। যদিও ঘটনাস্থলে দমকলের একটা ইঞ্জিন এসে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অপরদিকে ওই একইদিনে মূলত শহরে জোড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কাঁকুড়গাছি এলাকায় রাস্তার মাঝে চলন্ত গাড়িতে বীভৎসভাবে দাউ দাউ আগুনে জ্বলতে থাকে। স্বস্তির ব্যাপার যে, সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে কিছুক্ষণের মধ্যেই। কাঁকুড়গাছি এলাকায় সেদিন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্বাভাবিকভাবেই। ঘটনাস্থল থেকে গাড়িটিকে আটক করে মানিকতলা থানার পুলিশ। তবে গাড়ির চালক পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন, 'কমেছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, বেড়েছে ভোটার', দাবি শুভেন্দুর
অন্যদিকে ওই একই দিনে তপসিয়ায় তিলজলা থানা এলাকার সাপগাছিতে জুতোর কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে বিকেল চারটে নাগাদ। স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন দেখতে পেলে খবর দেন দমকলে। তিনতলায় জুতোর কারখানায় আগুন লাগে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিকেল চারটে নাগাদ তাঁরা আগুন দেখতে পান। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলকর্মীরা এসে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। অপরদিকে, মহেশতলায় বাইকের গ্যারাজে বিধ্বংসী আগুন লেগে বালকের মৃত্যু হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৭টা নাগাদ বিধ্বংসী ওই আগুন লাগে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় একাধিক বাইক। আগুনে পুড়ে গ্যারাজের ভিতরে থাকা বালকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। কিন্তু কীভাবে বারবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।






















