Complaint Against Doctors: 'স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা,' ৪ সরকারি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের
Kolkata News: সূত্রের খবর, চলতি মাসের শুরুতেই এই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: এবার ৪ জন সরকারি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স পুলিশ স্টেশনে ৪ জন সরকারি চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী, উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়, রঞ্জন ভট্টাচার্য, মানস গুমটার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের অভিযোগ, 'রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে'।
আর জি কর আন্দোলনের অন্যতম দুই মুখ, জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়া এবং আরেক জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দের পর এবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের স্ক্যানারে চার সরকারি চিকিৎসক-অধ্যাপক। বর্ধমানের ডেপুটি CMOH সুবর্ণ গোস্বামী, নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজের অর্থপেডিক বিভাগের প্রধান উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া সম্মিলিনী মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের মানস গুমটা এবং সরকারি মেডিক্যাল কলেজের সাইকিয়াট্রির শিক্ষক চিকিৎসক রঞ্জন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় লিখিত অভিযোগ জানালেন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার। অভিযোগ, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করছেন এই চারজন চিকিৎসক।
এবিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল সদস্য কৌশিক বিশ্বাস বলেন, "কতিপয় বামপন্থী সংগঠনের চিকিৎসকরা মিলে বহুদিন একাধিকবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের অফিসের বাইরে এমন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন সেটা কোনওমতেই মেনে নেওয়া যায় না। এনারা এসে বারবার বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন। রোগী, রোগীর পরিবার, চিকিৎসকদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়। খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। আসলে এরা কোনওদিন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল চালাননি আর ৪০-৫০ বছরে চালাবেনও না। তাই বিশৃঙ্খলা করছেন।''
সূত্রের খবর, চলতি মাসের শুরুতেই এই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, যে চারজন সরকারি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই আর জি কর-কাণ্ডে সরকারের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীকে তো লালবাজারে তলবও করেছিল কলকাতা পুলিশ। চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, "বেআইনি ও ভোট জালিয়াতি করে তৈরি হয়েছে কাউন্সিলর। বর্তমান রেজিস্ট্রার তার কোয়ালিফিকেশন থেকে শুরু করে তার পদে থাকারই কথা না। স্বাস্থ্যসচিব তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য চিঠিও দিয়েছেন। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে যারা বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত যারা অভীক দে, বিরুপাক্ষ বিশ্বাসকে বহাল করার চেষ্টা করা হয়, তার প্রতিবাদ করায় অভিযোগ। যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলছে, তাদের নামে নানা চিঠিচাপাটি করছে। প্রতিহিংসামূলক আচরণ।''
সম্প্রতি মাইক্রো বায়োলজির পোস্ট গ্র্য়াজুয়েট ট্রেনি কিঞ্জল নন্দের সম্পর্কে একাধিক তথ্য জানতে চেয়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে নবান্নে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে পোস্ট গ্র্য়াজুয়েট ট্রেনি হিসাবে কিঞ্জল নন্দ কত টাকা স্টাইপেন্ড পান? হাসপাতালে তাঁর ৮০ শতাংশ উপস্থিতি আছে কিনা? বিজ্ঞাপন এবং সিনেমায় অভিনয় করতে জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ কি NOC বা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নিয়েছিলেন? NOC নিয়ে থাকলে কোথা থেকে নিয়েছিলেন? সংশ্লিষ্ট বিভাগ, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ নাকি স্বাস্থ্য দফতর থেকে? কতদিন ছুটি নিয়েছেন কিঞ্জল নন্দ? সেই ছুটি কি নিয়ম মেনে নিয়েছেন? রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল সূত্রে খবর, চিঠিতে এমন সব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এদিন রাজ্য কাউন্সিলের এক্তিয়ার নিয়েই পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ। তাঁর প্রশ্ন, "উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করা হচ্ছে। আমি স্বাস্থ্য দফতর ও ডিপার্টমেন্টের তকাছে উত্তর দেব। আমি কত টাকা পাই সেটা আইটি রিটার্ন দেখে নিক। আমার কী ইনকাম সেটা দেখে নিন। এটা মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাজ নয়। ওদের কাজ আছে।''
আরও পড়ুন: Bangladesh-Pakistan Flight Service:যাতায়াত ও সম্পর্ক উন্নতির লক্ষ্য, চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বিমান পরিষেবা






















