![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
IAS success story: প্রেমে পড়লেও পড়াশোনাই প্রথম ‘চয়েস’! শ্রদ্ধার কেরিয়ারে গোড়া থেকেই চমক
IRS shraddha Joshi career: সম্প্রতি সারা দেশে তোলপাড় 'টুয়েলফথ ফেল' দেখে। মনোজ কুমার শর্মার পাশাপাশি শ্রদ্ধাকে জোশীকে নিয়েও চর্চা তুঙ্গে। কেমন ছিল শ্রদ্ধা কেরিয়ার?
![IAS success story: প্রেমে পড়লেও পড়াশোনাই প্রথম ‘চয়েস’! শ্রদ্ধার কেরিয়ারে গোড়া থেকেই চমক Know about IAS Shraddha Joshi career who became famous for twelfth fail movie IAS success story: প্রেমে পড়লেও পড়াশোনাই প্রথম ‘চয়েস’! শ্রদ্ধার কেরিয়ারে গোড়া থেকেই চমক](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/01/14/7dcb8a254b0fb8d7f6594c4a437f3c7e1705172161679928_original.png?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: 'টুয়েলফথ ফেল'(12th Fail) সিনেমায় দুই সরকারি আমলা জীবনের রসায়ন নজর কেড়েছে গোটা দেশের। পরিচালক বিধুবিনোদ চোপড়ার এই সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্র IPS অফিসার মনোজ কুমার শর্মা হলেও তার স্ত্রী-এর চরিত্রও নজর কেড়েছে সবার। তিনি হলেন শ্রদ্ধা, শ্রদ্ধা জোশী। মনোজের সঙ্গে ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে নিতেই আলাপ হয় শ্রদ্ধার। তবে মনোজের প্রেমিকাই শুধু তাঁর পরিচয় নয়, বরং তিনি একজন সফল IRS অফিসার। সিনেমায় তাঁকে দেখার পর থেকেই সাধারণ মানুষের আগ্রহ বেড়েছে শ্রদ্ধাকে নিয়ে। শ্রদ্ধা জোশীর ছোট্ট থেকে বড় হয়ে ওঠার গল্প ছিল অন্যরকম।
টুয়েলভের পর মেডিকেল নিয়ে পড়াশোনা!
উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ার একটি পাহাড়ি গ্রামে ১৯৭৯ সালের ৫ মার্চ শ্রদ্ধা জোশীর জন্ম। আলমোড়ার স্কুলেই তাঁর প্রাথমিক পড়াশোনা। ছোট থেকে ক্লাসের মেধাবী পড়ুয়াদের একজন ছিলেন শ্রদ্ধা। স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর পর চিকিৎসাবিজ্ঞানে আগ্রহ বাড়ে শ্রদ্ধার। তিনি আয়ুর্বেদ নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। এর জন্য হরিদ্বারের গুরুকুল কাঙরিতে চলে যান শ্রদ্ধা। মেডিকেল পাশ করার পর উত্তরাখণ্ডের একটি হাসপাতালে কিছুদিন ডাক্তারিও করেছিলেন। কিন্তু হাতেকলমে একটা কাজ করলেও মন ছিল অন্য খানে। খুব শিগগির শ্রদ্ধা টের পেলেন, তাঁর আসলে দেশের প্রশাসনিক পদেই কাজ করার ইচ্ছা বেশি।
UPSC পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি
মন আর সায় দিচ্ছিল না আয়ুর্বেদে। তাই বেশি সময় নেননি। প্রশাসনিক পদে কাজ করতে হলে দেলের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা UPSC পাশ করতে হবে। তার প্রস্তুতি নিতে দিল্লি চলে এলেন শ্রদ্ধা। দেশের রাজধানীতে দৃষ্টি IAS কোচিং সেন্টারে ভর্তি হন তিনি। ২০০৫ সালে পিসিএস পরীক্ষা সফলভাবে উত্তীর্ণ হন শ্রদ্ধা। এর পর তাঁকে নৈনিতালের ডেপুটি কালেক্টর পদে নিয়োগ করা হয়। এর পর অবশ্য জীবনে ঘটতে শুরু করেছে অন্য এক ঘটনা। যার জেরে ভবিষ্যতে তাঁর জীবন অন্য খাতে বয়।
২০০৭ সালে UPSC পরীক্ষা
২০০৭ সালে UPSC পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হন শ্রদ্ধা। ১২১ নম্বর ব়্যাঙ্ক হয় সারা ভারতের মধ্যে। ২০০৭ ব্যাচের IRS অফিসার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ পদ পান তিনি। UPSC পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় শ্রদ্ধা সঙ্গে আলাপ হয়েছিল মনোজের। ধীরে ধীরে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ভালোবাসা গভীর হতে থাকে। পরে এক সাক্ষাৎকারে মনোজ তাঁর কেরিয়ারে শ্রদ্ধার ভূমিকার কথা জানিয়েছিলেন। মনোজের কথায়, শ্রদ্ধাই তাঁর অনুপ্রেরণা। তাঁর শেষবারের চেষ্টায় পরীক্ষায় দুর্দান্ত ফল করেন মনোজ। যার অনেকটাই নাকি শ্রদ্ধা পাশে থাকার কারণেই হয়েছে।
হিন্দি সাহিত্য ও চায়ের নেশা
হিন্দি সাহিত্যের প্রতি টান ছিল শ্রদ্ধার। তার জেরেই মনোজের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হতে থাকে। তবে মনোজ শর্মার তরফেও চেষ্টার ঘাটতি ছিল না। শ্রদ্ধা চায়ের নেশা দেখে মনোজ তাঁকে চা করে খাওয়ান। দুজনের ভালোবাসা বাড়তে থাকে এভাবেই। তবে ভালোবাসার জন্য কেরিয়ারকে অবহেলা করেননি কেউই। বরং দুজন দুজনের পাশে থেকেছেন পড়াশোনা ও লক্ষ্যের সূত্র ধরেই। পড়াশোনাই প্রথম ‘চয়েস’ ছিল দুজনের। বর্তমানে মহারাষ্ট্র ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদের দায়িত্বে রয়েছেন শ্রদ্ধা জোশী। ২০২২ সাল থেকে এই পদেই কর্মরত তিনি। এর আগে ২০১৮ সালে মহিলা আর্থিক বিকাশ মহামণ্ডলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে ছিলেন। অন্যদিকে শ্রদ্ধার স্বামী মনোজ বর্তমানে অ্যাডিশনাল কমিশনার অব মুম্বই পুলিশ ।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)