Panchayat Election:ভোটযুদ্ধের আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে বোমাবাজি, উদ্ধার ব্যাগভর্তি বোমা
Basanti Bomb Recovery:গ্রাম বাংলার ভোটযুদ্ধের আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে বোমাবাজি। উদ্ধার হল এক ব্যাগ ভর্তি বোমা। গতকাল রাতে বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কলতলা গ্রামে ব্যাপক বোমাবাজি হয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গ্রাম বাংলার ভোটযুদ্ধের আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তীতে (Basanti) বোমাবাজি (Bombing)। উদ্ধার হল এক ব্যাগ ভর্তি বোমা। গতকাল রাতে বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কলতলা গ্রামে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। এরপর আজ সকালে গ্রামে গিয়ে নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করে বাসন্তী থানার পুলিশ। ব্যাগে ৬-৭টি বোমা আছে বলে অনুমান। গ্রামবাসীরা এতটাই আতঙ্কিত যে, পুলিশের সামনেও ভয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না।
অশান্তি চলছেই...
মনোনয়ন ঘিরে গত বেশ কিছু দিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নানা প্রান্ত। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, ৩ দিন ধরে তুমুল অশান্তি হয়েছে শুধু ভাঙড়েই। গত বুধবার নবান্নে পৌঁছে গিয়েছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করে ভাঙড়ের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার জন্য়ই গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তুমুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়নি নৌশাদের। তারপরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। তথ্য় বলছে, মনোনয়নের শেষ দিনেও রক্তাক্ত হয়ে ওঠে বাংলা। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়- হিংসার ঘটনায় নিহত হন ৩ জন। চোপড়ায় বাম-কংগ্রেসের উপর হামলা, গুলিতে নিহত ১, আহত হন ৩ জন। ভাঙড়ের ২ নম্বর ব্লকে তৃণমূলকর্মীর মৃত্যুর দাবি করেন সওকত মোল্লা। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এক আইএসএফ কর্মীও। রবিবার তৃণমূল কর্মী রাজু নস্করের বাড়িতে পৌঁছে যান তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। ভাঙড়ের হাটগাছিতে নিহত কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ ও ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক ও ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লা।
রক্তাক্ত কোচবিহার...
অন্য দিকে, বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল কোচবিহারের দিনহাটায়। মৃতের নাম শম্ভু দাস। মৃতের বৌদি বিশাখা দাস দিনহাটার কিসামত দশগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪৯ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী । পরিবারের অভিযোগ, গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতে কয়েক জন এসে তাঁর দেওরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর ওই যুবককে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। সাহেবগঞ্জ থানায় পরিবারের তরফে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি, রাজনৈতিক কারণে খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।এই নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ৯ দিনে ৭টি খুনের ঘটনা ঘটল। দিনহাটার ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে বিজেপি। যদিও দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর দাবি, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সন্ত্রাস ছড়াচ্ছেন উদয়ন, অভিযোগ বিজেপির।
আরও পড়ুন:চেক লেখার সময় এই কাজটি করলে মুহূর্তে ফাঁকা হতে পারে অ্যাকাউন্ট!