Delhi Assembly Elections 2025: মমতা তাঁর পাশেই, ঘোষণা কেজরিওয়ালে, I.N.D.I.A জোটে কংগ্রেস কি একা হয়ে পড়ল?
Arvind Kejriwal: এবারের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মূলত ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে।
নয়াদিল্লি: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফাটল আরও চওড়া হল বিজেপি বিরোধী I.N.D.I.A শিবিরে। জাতীয় স্তরে জোটের শরিক হলেও, দিল্লিতে এবার আলাদা আলাদা নির্বাচন লড়ছে আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস। আর সেই নিয়ে বিভাজন তৈরি হয়েছে জোটের অন্দরেও। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করছেন বলে ঘোষণা করেছেন AAP প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবের সমর্থনও তাঁর পক্ষে আছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেস কার্যতই একা হয়ে পড়েছে। (Delhi Assembly Elections 2025)
এবারের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মূলত ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেল খেটে আসার পর এই নির্বাচন কেজরিওয়ালের জন্য যেমন 'প্রেস্টিজ ফাইট', তেমনই বিজেপি আরও একবার দিল্লিদখলে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। একদা হাতছাড়া হওয়া মসনদ ফিরে পেতে মরিয়া কংগ্রেসও। তাই লোকসভা নির্বাচনে একসঙ্গে লড়াই করলেও, দিল্লিতে AAP-এর প্রতিপক্ষ হিসেবেই নির্বাচনী ময়দানে নেমেছে তারা। কিন্তু জোটধর্ম মেনে সেখানে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না শরিকদের কাউকেই।
বুধবার সোশ্যাস মিডিয়ায় তৃণমূলকে ধন্যবাদ জানান কেজরিওয়াল। তিনি লেখেন, 'দিল্লি নির্বাচনে AAP-কে সমর্থনের ঘোষণা করেছে তৃণমূল। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মমতা দিদির কাছে কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ দিদি। আপনি বরাবর আমাকে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, ভাল এবং খারাপ সময়ে আশীর্বাদ করেছেন'। (Arvind Kejriwal)
এর আগে, ডিসেম্বর মাসে AAP আয়োজিত 'মহিলা আদালত' চলাকালীন অখিলেশ দিল্লিতে কেজরিওয়ালদের সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা (উদ্ধব)-ও AAP-এর হয়ে দিল্লিতে প্রচারে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। উদ্ধবের সঙ্গে কেজরিওয়াল লাগাতার যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে। সেই আবহেই মমতার সমর্থনও তাঁর দিকেই রয়েছে বলে ঘোষণা করলেন কেজরিওয়াল। এর ফলে বিরোধী জোটের সমীকরণেও পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কংগ্রেসের সরকারকে হটিয়েই দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন কেজরিওয়াল। দীর্ঘদিন তাদের মধ্যে কার্যত মুখ দেখাদেখিই ছিল না। কিন্তু বিজেপি বিরোধী I.N.D.I.A জোট দুই দলকে একছাতার নীচে নিয়ে আসে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একজোট হয়ে লড়াই করলেও, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে ফের বোঝাপড়ায় অমিল দেখা দেয়। তাই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে পৃথক ভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস এবং AAP.
এর ফলস্বরূপ, নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে এসেছে, ততই তিক্ততা চরমে পৌঁছেছে দুই দলের মধ্যে। জাতীয় স্তরে একই জোটে শামিল হলেও, বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে কেউ কাউকে রেয়াত করছে না। সম্প্রতি আবগারি দুর্নীতি নিয়ে কেজরিওয়ালকে কংগ্রেস, জনকল্যাণমূলক প্রকল্প নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ তোলে। এর পাল্টা কংগ্রেসকে I.N.D.I.A জোট থেকে ছেঁটে ফেলার দাবি তোলে AAP. মনমোহন সিংহের প্রয়াণে যদিও ফের পাশাপাশি দেখা যায় দুই দলকে। কিন্তু মমতার সমর্থন পাওয়ার ঘোষণা করে কেজরিওয়াল কংগ্রেসকেই কোণঠাসা করার চেষ্টা চালালেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই মুহূর্তে দিল্লিতে জোরকদমে প্রচার চলছে। কিন্তু সচেতন ভাবেই সেই প্রচার থেকে দূরত্ব রাখছেন রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা এবং মল্লিকার্জুন খড়গেরা। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে নির্বাচন। ফলঘোষণা ৮ ফেব্রুয়ারি।