Kolkata Brigade Rally: মোদি-মমতাকে একসারিতে ফেলে নিশানা বাঘেলের, ঝাঁঝালো আক্রমণ আব্বাসেরও
ভোটের আগে একজনকে ঘিরে বাংলার রাজনীতি জোর জল্পনা!আরেকজনকে রাজনীতি সচেতন মানুষ চেনেন ছত্তীসগঢ়ের ‘জায়ান্ট কিলার’ হিসেবে।
ঋত্বিক মণ্ডল, সত্যজিৎ বৈদ্য ও সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: আসছে ভোটে তৃণমূলকে শূন্য করব! বিজেপির কালো হাত ভেঙে দেব! ব্রিগেডের মঞ্চে বিজেপি-তৃণমূলকে নিশানা করলেন আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকি। মোদি-মমতাকে একসারিতে ফেলে আক্রমণ করেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলও। পাল্টা সমালোচনায় সরব তৃণমূল ও বিজেপি।
ভোটের আগে একজনকে ঘিরে বাংলার রাজনীতি জোর জল্পনা!আরেকজনকে রাজনীতি সচেতন মানুষ চেনেন ছত্তীসগঢ়ের ‘জায়ান্ট কিলার’ হিসেবে।
ব্রিগেড সমাবেশে আলাদা করে সবার নজর টানলেন এই দুই মুখ।ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকি ও কংগ্রেস শাসিত ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল!
অতীতে বড় নেতারা যখন ব্রিগেডে পৌঁছতেন, তখন তুমুল উল্লাসে স্বাগত জানাতেন সমর্থকরা। এদিন কার্যত সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হল আব্বাসের উপস্থিতিতে।বক্তৃতা দিতে গিয়ে বললেন,বিজেপি ও তৃণমূলকে উৎখাত করব। মমতা মানুষের অধিকার হরণ করেছেন, নির্বাচনে বুঝিয়ে দেব। সবাই এখন ভয়ে রয়েছে। ২১ মমতাকে শূন্য করে দেব। এ বাংলায় যখনই কালো হাত পড়েছে, তখনই কালো হাত ভাঙা হয়েছে। আমাদের শপথ বিজেপির কালো হাত ভাঙতে হবে
আব্বাসের হুঙ্কারকে গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল কিংবা বিজেপি। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কটাক্ষ, এত রক্ত দেওয়ার দরকার নেই, বাংলায় মমতার সরকার সুষ্ঠুভাবে চলছে, ওরা যা বলল, তা মানুষের বক্তব্য নয়।
বিধানসভা ভোটে আব্বাস কোনও ফ্যাক্টর হবেন না বলে পাল্টা সুর চড়িয়েছে বিজেপি।
জোটের ব্রিগেডে এদিন এমন একজন উপস্থিত ছিলেন, যাঁরা সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক সেভাবে নেই। তিনি ছত্তীসগঢ়ে ১৫ বছরের বিজেপি সরকারকে উৎখাত করা কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কে এক বন্ধনীতে ফেলে আক্রমণ শানালেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী।তিনি বললেন, নেতাজির জন্মদিন পরাক্রম দিবস ঘোষণা করেছে কেন্দ্র, যেদিন নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজ তৈরি করছেন, তখন সাভারকর, শ্যামাপ্রসাদরা ইংরেজদের ফৌজ তৈরিতে ব্যস্ত ছিলেন।
মোদিজি আপনি নেতাজির উত্তরসূরি হতে পারেন না, আমি ছত্তীসগঢ়ে নেতাজির নামে পুলিশ অ্যাকাডেমি করেছি, আপনি তো স্টেডিয়ামটাই নিজের নামে করে নিলেন।
পেট্রোপণ্যের রেকর্ড দামবৃদ্ধির জেরে দেশজোড়া মানুষের যখন হাঁসফাঁস করা অবস্থা, তখন ভূপেশ বাঘেলের সরকার ছত্তীসগঢ়ে নিজেদের কর কমিয়ে পেট্রোলের দাম ১২ টাকা ও ডিজেলের দাম ৪ টাকা কমাতে সাহায্য করেছে! যে প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করেন অধীর চৌধুরী।
জনগণ শেষপর্যন্ত কী রায় দেন, সেই উত্তর মিলবে ২ মে।