নির্বাচনী নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করেছেন আদিত্যনাথ, দেখেও দেখছে না কমিশন, অভিযোগ মায়াবতীর
টুইট করে মায়াবতী বলেন, নির্বাচন কমিশনের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মন্দির বিভিন্ন শহরে দর্শন করছেন এবং দলিতদের বাড়িতে খাওয়ার নাটক করে চলেছেন আদিত্যনাথ। সেই ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলছেন তিনি।
লখনউ: বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে নির্বাচনী নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের অভিযোগ তুললেন বহুজন সমাজ পার্টি সুপ্রিমো মায়াবতী। সবকিছু দেখেও চোখ বন্ধ করে রয়েছে নির্বাচন কমিশন। নেত্রীর আরও দাবি, ভোটের ফলাফল নিয়ে সংশয়ে দিন গুজরান করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি। আদিত্যনাথকে আক্রমণ করতে গিয়ে মায়াবতী দাবি করেন, মন্দির দর্শন করে এবং দলিতদের বাড়িতে ভোজন করার মাধ্যমে পরোক্ষে রাজনৈতিক ফায়দা তুলছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এদিন টুইট করে মায়াবতী বলেন, নির্বাচন কমিশনের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মন্দির বিভিন্ন শহরে দর্শন করছেন এবং দলিতদের বাড়িতে খাওয়ার নাটক করে চলেছেন আদিত্যনাথ। সেই ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলছেন তিনি। অথচ, কমিশন এত কিছু সত্ত্বেও তাঁকে ছাড় দিচ্ছে, কেন? প্রসঙ্গত, গত সোমবার, মেরঠে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার জন্য আদিত্যনাথের প্রচারে ৭২-ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। মায়াবতীর প্রশ্ন, নির্বাচন কমিশনই যদি চোখ ঘুরিয়ে নেয়, তাহলে স্বচ্ছ ও অবাধ ভোটগ্রহণ সম্ভব নয়। একইসঙ্গে বিজেপিকেও একহাত নিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আজ দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব চলছে। বিজেপি নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রী এখন ফলাফল নিয়ে সংশয়ে দিন কাটাচ্ছেন। ঠিক যেমনটা কংগ্রেসের হয়েছিল গত লোকসভা নির্বাচনে। বিজেপির এই সংশয়ের নেপথ্যে গেরুয়া শিবিরের গরিব, মজুর, কৃষক দলিত, পিছিয়ে পড়া শ্রেণি এবং মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষমূলক মানসিকতা দায়ী বলে মনে করেন মায়াবতী।