Mamata Banerjee: 'এরা জানে হারছে , তাই শেষ মুহূর্তে...', কোন আশঙ্কার কথা শোনালেন মমতা ?
EVM Issue: EVM-নিয়ে আশঙ্কার কথা অন্য বিরোধী নেতৃত্বের গলাতেও শোনা গেছে।
কল্যাণী : কংগ্রেস আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। বারবার সরবও হয়েছে এনিয়ে। EVM-নিয়ে আশঙ্কার কথা অন্য বিরোধী নেতৃত্বের গলাতেও শোনা গেছে। এনিয়ে লোকসভা ভোটের মধ্যেই এবার সরব হলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'ইভিএম যেখানে থাকবে যাতে কোনও রকম আলো বন্ধ করতে না পারে' তা দেখার জন্য দলের কর্তব্যরতদের নির্দেশ দিলেন তৃণমূল নেত্রী।
এদিন কল্যাণী সভা থেকে ইভিএম নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, "কী রাগ মহুয়ার প্রতি। কৃষ্ণনগরে। তাঁকে নাকি হারাতেই হবে। প্রথমেই ইভিএম বক্স খুলেছে। দেখছে, তৃণমূলে ভোট দিচ্ছে, ভোটটা চলে যাচ্ছে বিজেপিতে। সঙ্গে সঙ্গে রুখে দাঁড়ানো হয়েছে। আটকানো হয়েছে। মেশিন পাল্টানো হয়েছে। এরা যে কী করতে পারে কল্পনাও করতে পারবেন না। এরা জানে হারছে , তাই শেষ মুহূর্তে শেষ কামড় দেওয়ার জন্য... ইভিএম যেখানে থাকবে যাতে কোনও রকম আলো বন্ধ করতে না পারে, কোনও রকম মেশিন বদলাতে না পারে, যাঁরা অর্গানাইজার আছেন তাঁদেরও দায়িত্ব, পুলিশেরও দায়িত্ব। মানুষ ভোট দেবেন। তাঁর ভোটটা যেন সযত্নে রক্ষা হয়।"
তৃতীয় দফা ভোটের আগে EVM-এ কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, "নাগরিকদের সন্দেহ দূর করার জন্য, EVM কারা তৈরি করেছে, মেশিনের চিপ কারা তৈরি করেছে? এই সংখ্যাটা বাড়ল কী করে? ফার্স্ট ফেজে কী ছিল? সেকেন্ড ফেজে কী ছিল? কত ভোটার ছিল? কত মেশিন ইউজ হয়েছিল? সেটা আমরা জানতে চাই।"
এর আগে নির্বাচন কমিশন প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ভোটদানের হারের চূড়ান্ত তথ্য প্রকাশ করেছিল। যেখানে দেখা যায়, আলিপুরদুয়ারে ভোট পড়েছে ৭৯.৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ আগের দেওয়া কমিশনের প্রাথমিক তথ্যের কোনও হেরফের হয়নি। কোচবিহারে পড়েছে ৮২.১৬ শতাংশ ভোট। এক্ষেত্রে ভোটের হার তো বাড়েনি। বরং কমেছে দশমিক ০১ শতাংশ। জলপাইগুড়িতে ভোট পড়েছে ৮৩.৬৬ শতাংশ। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও ভোটের পরের দিনের দেওয়া নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক তথ্যের কোনও হেরফের হয়নি। দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিঙে ভোট পড়েছে ৭৪.৭৬ শতাংশ । রায়গঞ্জে পড়ছে ৭৬.১৮ শতাংশ ভোট। এবং বালুরঘাটে ভোট পড়েছে ৭৯.০৯ শতাংশ। অর্থাৎ এই ৩ টি কেন্দ্রের ক্ষেত্রেই প্রাথমিকভাবে দেওয়া তথ্যের সঙ্গে কমিশনের দেওয়া ভোটগ্রহণের চূড়ান্ত হারের তথ্যের এক শতাংশেরও হেরফের নেই। অর্থাৎ বাংলার ক্ষেত্রে, প্রথম ২ দফার ভোটদানের হার নিয়ে কমিশনের দেওয়া প্রাথমিক তথ্যের সঙ্গে চূড়ান্ত তথ্যের কোনও ফারাকই প্রায় নেই।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।