Panchayat Election: দুই ভাই দুই দলের প্রার্থী! একইসঙ্গে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন প্রচারে
North 24 Parganas: পরিবার জানাচ্ছে, রাজনৈতিক লড়াই, কটাক্ষ, বিদ্রূপ- প্রচারে নেমে বাদ নেই কিছুরই। কিন্তু তা রাজনীতির সীমা পেরিয়ে ব্যক্তি জীবনে ঢুকছে না।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত নির্বাচন এমন একটি ভোট, যেখানে একই পরিবার থেকে একাধিক ব্যক্তি ভোটে দাঁড়ান। কখনও এক দল, কখনও আবার ভিন্ন দল। বাংলায় এমন ছবি নতুন কিছু নয়। যেমন উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার দু'নম্বর ব্লকের ভুরকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত। এখানেই মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছেন দুই ভাই। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেজদা বিজেপির প্রার্থী,ছোট ভাই দাঁড়াচ্ছেন তৃণমূলের হয়ে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া -২ ব্লকে ভুরকুন্ডা পঞ্চায়েতের ৩১ নম্বর বুথে একই বাড়ির দুই ভাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে। সেজ ভাই সুদেব মাটি বিজেপি প্রার্থী এবং ছোট ভাই মহাদেব মাটি তৃণমূলের প্রার্থী। তাহলে কী রাজনৈতিক লড়াই ঘরেও ঢুকে পড়ছে? না- এখানে তেমন ছবি নয়। দুই ভাই একই সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন প্রচারে। তারপর এলাকায় প্রচার চালাতে চালাতে হঠাৎ রাস্তায় মুখোমুখি হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। পরিবার জানাচ্ছে, রাজনৈতিক লড়াই, কটাক্ষ, বিদ্রূপ- প্রচারে নেমে বাদ নেই কিছুরই। কিন্তু তা রাজনীতির সীমা পেরিয়ে ব্যক্তি জীবনে ঢুকছে না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে ঠিকই কিন্তু অশান্তি নেই।
ছোট ভাই বরাবরই তৃণমূলের বুথের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, এর আগেও তৃণমূল প্রার্থীদের তিনি জিতিয়ে এনেছেন একাধিকবার। তাই দল তাঁকেই এবার প্রার্থী করেছে। জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ আশাবাদী ছোট ভাই তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব। মহাদেবের সাফ কথা, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের কল্যাণে যেসব প্রকল্প এনেছেন আগে কোনওদিন হয়নি সে কারণেই মানুষ তাঁকে আশীর্বাদ করবেন।'
অন্যদিকে বড় ভাই সুদেব জানান তিনিও আগে তৃণমূল করতেন, কিন্তু তৃণমূলের দুর্নীতি-চুরিতে বীতশ্রদ্ধ হয়ে তিনি দলত্যাগ করেছেন। আবাস যোজনায় যাঁরা যোগ্য, তাঁরা ঘর পাননি, যাঁদের প্রয়োজন নেই তাঁরা ঘর পেয়েছেন। এছাড়াও আরও বিভিন্ন দুর্নীতি তিনি মেনে নিতে পারেননি। তাঁর দাবি, 'ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশকে শক্তিশালী করেছেন এবং রেশন দিয়ে চলেছেন। করোনার সময়ও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাতেই তিনি মুগ্ধ হয়েছেন এবং বিজেপিতে যোগদান করে প্রার্থী হয়েছেন।'
স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, একই পরিবারের দুই প্রার্থী হওয়ায় গ্রামে অশান্তির আশঙ্কা কম। যাঁকে মানুষ যোগ্য বিবেচনা করবেন তাঁকে জয়ী করে কাজ করার সুযোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন নিয়মিত মধু সেবনে কী কী উপকার হতে পারে আমাদের স্বাস্থ্যের?