Panchayat Election 2023: বেহাল রাস্তা, ভোটের প্রচারে যেতেই TMC বিধায়ককে কাদা ভর্তি রাস্তায় নামালেন গ্রামবাসীরা
Agitation Against TMC MLA in Bhatar: অভিযোগ, কাজ হয়নি ২০১১ থেকে, তৃণমূল বিধায়ককে কাদা ভর্তি রাস্তায় নামালেন গ্রামবাসীরা।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: তৃণমূল বিধায়ককে কাদা ভর্তি রাস্তায় নামালেন গ্রামবাসীরা। ভোটের প্রচারে গিয়ে ভাতারে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে বিধায়ক। ভোগান্তি বোঝাতে বিধায়ককেই কাদা ভর্তি রাস্তায় নামালেন গ্রামবাসীরা।
'কেউ জোর করেনি, নিজেই রাস্তায় হেঁটেছি'
অভিযোগ, কাজ হয়নি ২০১১ থেকে, বিধায়ককে কাদায় হাঁটিয়ে দাবি গ্রামবাসীদের।'বিচ্ছিন্ন কিছু নয়, মানুষ সাহস করে সোচ্চার হচ্ছেন, এটাই তার প্রমাণ', তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীকে কাদায় নামানো নিয়ে ট্যুইট শুভেন্দুর। কেউ জোর করেনি, নিজেই রাস্তায় হেঁটেছি, দাবি তৃণমূল বিধায়কের। ক্ষোভের মুখে ভোট মিটলেই ২ বছরে পাকা রাস্তার দাবি তৃণমূল বিধায়কের।
কী অভিযোগ ?
নির্বাচনী প্রচারে বেড়িয়ে গ্রামবাসীদের ব্যপক ক্ষোভের মুখে পরেন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী।শুধু বিক্ষোভ নয় নিজেদের নিত্য ভোগান্তির অবস্থা তুলে ধরতে এক হাঁটু কাঁদা পেরিয়ে বিধায়ককে রাস্তা হাঁটতে বাধ্য করেন তাঁরা। তাঁদের সোজা যুক্তি,' ভোট দিই,ভোট নেন, রাস্তা কই?' মূলত শনিবার সকালে ভাতারের নিত্যনন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালুত্তকে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী আব্দুল রউফের সমর্থনে প্রচারে বের হোন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। প্রচার শুরু করতেই গ্রামবাসীরা প্রার্থী ও বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এবং তাঁদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন।
'দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গ্রামের রাস্তার হাল খারাপ'
সেখানেই কার্যত গ্রামবাসীদের সাথে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পরতে দেখা যায় প্রার্থীকে এর পরই নিজেদের প্রতিদিনের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরতে বিধায়ককে কাঁদা রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য করেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ,দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গ্রামের রাস্তার হাল খারাপ।বিভিন্ন স্তরে বলেও কোনো সুরাহা হয়নি। তাই আজ বিধায়ক আসতেই রাস্তার দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে নিজেদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরতে তাকে জোর করে কাদা রাস্তাতেও হাটানো হয়েছে।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে শাসক দলের আরও কে ?
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন শতাব্দী রায়। অনুব্রত মণ্ডলহীন বীরভূমে ভোট প্রচারে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। পানীয় জল ও আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়ার অভিযোগে গ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন শতাব্দী। তিনি বলেছিলেন, 'বাড়ি-ত্রিপল পায়নি বলছে। আর নদীর ব্রিজ বলছে। ওটা আমাকে জানতে হবে কী টাকা। যে টাকা সেটা আমার কাছে আছে কি না জানতে হবে। আমি বলে যাব, হ্যাঁ করে দেব। আমি ওরকম কথা বলি না। সুতরাং, আমাকে একটা এস্টিমেট দিক। সেটা যদি আমার কাছে থাকে, আমি করে দেব। '