Phase 7 election 2024: সকালে ভোট দিতে গিয়ে বেধড়ক মার, ২০০ মিটার দূরের বুথে যেতেও ত্রাস নলমুড়িতে
Bhangor Nalmudi In Terror:ভোট দিতে যেতে বড় ভয়। সকাল সাহস করে যাঁরা বুথে গিয়েছিলেন, ফিরেছেন মার খেয়ে। তারপর থেকে ২০০ মিটার দূরের বুথেও কাউকে ভোট দিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, নলমুড়ি: ভোট (Phase 7 election 2024) দিতে যেতে বড় ভয়। সকাল সাহস করে যাঁরা বুথে গিয়েছিলেন, ফিরেছেন মার খেয়ে। তারপর থেকে ২০০ মিটার দূরের বুথেও কাউকে ভোট দিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ভাঙড়ের নলমুড়িতে (Nalmudi Voters Intimidated) ভোটের সকালে নিখাদ আতঙ্ক।
বাসিন্দারা যা বললেন...
পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, এত মারধর করা হয়েছে যে ভয়ে আর তাঁরা ভোটই দিতে যেতে পারেননি। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। মাত্র ২০০ মিটার দূরে বুথ, রয়েছে পুলিশও। তা সত্ত্বেও এক মহিলা বললেন, 'কী করে যাব? গেলেই মারধর করছে। মাথা ফাটিয়ে দিচ্ছে।' সিপিএমের এজেন্ট হিসেবে যিনি বুথে গিয়েছিলেন, তাঁর অভিযোগ, বাহিনী-পুলিশ মিলে বের করে নিয়ে এসে মার খাইয়েছে। বস্তুত, শুরু থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। তার পর বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটেও গেলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি বলে সূত্রের খবর। বাসিন্দাদের একাংশের খেদ, 'এজেন্টরা যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁদের অর্ধেক খুনই করে ফেলা হয়েছে। এসএসকেএমে ভর্তি রয়েছেন তাঁরা।' সিপিএমের এজেন্টের আইডি-কার্ডও কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। এতেই শেষ নয়। অভিযোগ, ওই আইডি কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে তা নিজেরা ব্যবহার করে ভোটদানের চেষ্টা করছে।
আর যা...
মারধরের অভিযোগ একাধিক জায়গা থেকেই এসেছে শনিবার। ক্যানিংয়ে যেমন ভোট সন্ত্রাসের জেরে রক্ত ঝরে এক নিরীহ ভোটারের। নির্দিষ্ট করে বললে, ক্যানিংয়ের গোলাবাড়ির মধুখালির ঘটনা। সেখানে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে ভোটারকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তিন জন ভোটারকে মারধরও করা হয় বলে খবর। অশান্তি দেখতে না দেখতেই আরও বড় আকার ধারণ করে, বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। ইটের ঘায়ে মাথা ফাটে চার ভোটারের। লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে জমায়েত হঠায় পুলিশ। এরপর গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাসের দাবি, বিরোধীরাই গন্ডগোল করেছে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। অন্যদিকে, এদিন জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সাতসকালেই EVM, VV-PAT ছুড়ে জলে ফেলে দেন গ্রামবাসীরা। পুলিশের গাড়ির সামনে গাছের গুঁড়ি ফেলে চলে বিক্ষোভ। ঘটনাটি ঘটে জয়নগর লোকসভার কুলতলির মেরিগঞ্জ ২ নম্বর অঞ্চলের বেণীমাধবপুর FP স্কুলে। বিজেপি প্রার্থী অশোক কাণ্ডারী অভিযোগ করেন, বিরোধী এজেন্টদের বসতে দিচ্ছিল না তৃণমূল।
আরও পড়ুন:গণনার দিনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা, খড়্গের বাড়িতে ঘরোয়া বৈঠক 'ইন্ডিয়া' জোটের?