South 24 Pargana News: মনোনয়ন পেশে বাধার মুখে বিরোধীরা, বাম ও আইএসএফ প্রার্থীদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
আহত হন এক সিপিএম প্রার্থী। সিপিএমের অভিযোগ, সেখানে আরও একবার বিরোধী প্রার্থীরা আক্রান্ত হন। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বাম ও আইএসএফ প্রার্থীরা।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) মন্দিরবাজারে মনোনয়ন (Nomination) পেশে বাধার মুখে বিরোধীরা। বিডিও অফিসে যাওয়ার পথে, বাম ও আইএসএফ (ISF) প্রার্থীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত হলেন বাম প্রার্থী (CPM)।
গলা কেটে রক্ত ঝরছে। তারপরেও পঞ্চায়েত ভোটে লড়তে মরিয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের এই সিপিএম প্রার্থী। মন্দিরবাজারেও মনোনয়ন-অশান্তি , তৃণমূলের ‘বাধার মুখে‘ বিরোধীরা। মঙ্গলবার মন্দিরবাজারের নিশাপুরে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে তুলকালাম বাধে। অভিযোগ, সিপিএম ও আইএসএফ প্রার্থীদের রাস্তায় আটকে মারধর করা হয়।
আহত হন এক সিপিএম প্রার্থী। সিপিএমের অভিযোগ, সেখানে আরও একবার বিরোধী প্রার্থীরা আক্রান্ত হন। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বাম ও আইএসএফ প্রার্থীরা। মন্দিরবাজার সিপিএমের জোনাল কমিটির সম্পাদক মিহির সর্দারের বারবার আক্রান্ত হচ্ছি, আজকেও হামলা হয়, লড়াই করে মনোনয়ন দিয়েছি, প্রশাসনকে অনুরোধ করব বিরোধীদের মনোনয়ন সুনিশ্চিত করতে। মনোনয়নে আক্রান্ত বিরোধীরা, হামলা-যোগ অস্বীকার তৃণমূলের। দিনভর উত্তেজনা থাকার পর এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ, পুলিশের উপস্থিতিতে ৩০ জন বিরোধী প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন।
মনোনয়ন পর্ব ঘিরে আজও ভাঙড়ে শাসকের 'অপারেশন-মনোনয়ন'। ISF-কে ঠান্ডা করতে ডান্ডা হাতে রাস্তায় তৃণমূল। মনোনয়ন পর্বের পঞ্চম দিনেও অগ্নিগর্ভ ভাঙড়। গতকালের ধুনধুমার কাণ্ডের পর, আজও দুষকৃতীদের মুক্তাঞ্চল বিডিও অফিস চত্বর। সকাল ১১টায় মনোনয়ন শুরু হতে না হতেই আবার বোমার আওয়াজে কাঁপল ভাঙড় এক নম্বর বিডিও অফিস চত্বর। কোথায় ১৪৪ ধারা! রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় বিধিনিষেধকে হেলায় উড়িয়ে বাঁশ, লাঠি, গাছের ডাল হাতে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে হাজির তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। রুমালে মুখ ঢেকে ডান্ডা হাতে ISF-কে ঠান্ডা করতে রাস্তায় নেমেছেন তারা।
মুখে মুখে ঘুরছে অ্যাকশনের কথা। প্রকাশ্যেই ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির পিঠের চামড়া তোলার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তাঁরা। সকাল থেকেই কার্যত তৃণমূলের দখলে গোটা বিডিও অফিস চত্বর। নেতৃত্বে শাসক দলের দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল। মুক্তাঞ্চল ভাঙড়ে আক্রান্ত এবিপি আনন্দ। ছবি তুলতে বাধা। সাংবাদিকদের হুমকি। সকাল থেকে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন থাকলেও, অশান্তির সময় তল্লাটে কোনও পুলিশকর্মীর দেখা নেই। মনোনয়ন ঘিরে গতকাল যুদ্ধক্ষেত্র ভাঙড়। এতকাণ্ডের পরও বদলাল না হিংসার ছবি।আজও রণাঙ্গনের নাম ভাঙড়।