Hooghly : জাঙ্গিপাড়ায় বিজেপি প্রার্থীকে লক্ষ্য করে পরপর বোমা ছোড়ার অভিযোগ !
BJP's Demand : বিজেপির দাবি, পরাজয় নিশ্চিত জেনে ভয় পেয়ে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল
জাঙ্গিপাড়া : হুগলির (Hooghly) জাঙ্গিপাড়ায় বিজেপি প্রার্থীকে (BJP Candidate) লক্ষ্য করে পরপর ২টি বোমা ছোড়ার অভিযোগ। অল্পের জন্য রক্ষা পান প্রার্থী। হামলার অভিযোগ তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে।
জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির ৭ নম্বর আসনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন রাজকুমার মালিক। অভিযোগ, রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় দুই জন পিছু নেয় তাঁর। গালিগালাজ করে। প্রতিবাদ করায় পরপর ২টি বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায় তারা। পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে বোমা নয়, সুতলি পাকানো কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে।
বিজেপির দাবি, পরাজয় নিশ্চিত জেনে ভয় পেয়ে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল। যদিও শাসকদল পাল্টা দাবি করেছে, পায়ের তলায় জমি নেই বুঝতে পেরেই গেরুয়া শিবির অপপ্রচার চালাচ্ছে।
সপ্তাহখানেক আগে কোচবিহারে পঞ্চায়েত ভোটের প্রথম জনসভা থেকে যেদিন, বিজেপির বিরুদ্ধে অলআউট আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেদিনই হুগলির জাঙ্গিপাড়ার নির্বাচনী জনসভা থেকে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একের পর এক আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। নিশানা করেন 'ডায়মন্ড হারবার মডেল'কে। ওইদিন পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে জাঙ্গিপাড়া স্টেশন ময়দানে জনসভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকেই, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের বিভিন্ন আসনে তৃণমূলের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের প্রসঙ্গ তুলে আক্রমণ শানান বিরোধী দলনেতা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের নিরিখে সমস্ত জেলাকে টেক্কা দিয়েছে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে জেলা থেকে সাংসদ, সেখানে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ২৭ শতাংশ আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি বিরোধীরা।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারের। মধ্যে পড়ে ফলতা বিধানসভা। সেখানে এবার গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ভোটে কোনও বিরোধীই নেই!। ফলতা বিধানসভা এলাকায় ৪৪টি পঞ্চায়েত সমিতির আসন রয়েছে। তার মধ্যে একটিতেও বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। ফলতা বিধানসভা এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন রয়েছে মোট ২৭৩টি। সবকটিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ডায়মন্ডহারবার লোকসভার অন্তর্গত বজবজ এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ১৭টি আসনের মধ্যে একটিতেও প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা। গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১১টি আসনের সবগুলিই তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নিয়েছে।
এপ্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতার আক্রমণ, পঞ্চায়তকে ধরে নিন কোয়ার্টার ফাইনাল। পকেটে হাত ঢুকিয়ে বড় বড় কথা বলেছিল কয়লা ভাইপো। নমিনেশন করাব। সবচেয়ে বেশি আনকনটেস্টেড দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এটা ডায়মন্ডহারবার মডেল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial