(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
WB Election 2021: দ্বিতীয় দফায় ৩০ আসনে ভোট: ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে কোথায় কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় চার জেলার ৩০ আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী বৃহস্পতিবার। এরমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের ৯, বাঁকুড়ার ৮, পূর্ব মেদিনীপুরের ৯ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৪ আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে।
কলকাতা: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় চার জেলার ৩০ আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী বৃহস্পতিবার। এরমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের ৯, বাঁকুড়ার ৮, পূর্ব মেদিনীপুরের ৯ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৪ আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে।
পূর্ব মেদিনীপুর যে আসনগুলিতে ভোট গ্রহণ করা হবে সেগুলি হল, তমলুক, পাঁশকুড়া পূর্ব, পাঁশকুড়া পশ্চিম, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল, হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, চণ্ডীপুর।
বাঁকুড়ার যে আট আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে সেগুলি হল তালড্যাংরা, বাঁকুড়া, বড়জোড়া, ওন্দা, বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, ইন্দাস, সোনামুখী।
পশ্চিম মেদিনীপুরের যে আসনগুলিতে ভোট গ্রহণ করা হবে সেগুলি হল, খড়্গপুর সদর, নারায়ণগড়, সবং, পিংলা, ডেবরা, দাসপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, কেশপুর।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা যে আসনগুলিতে ভোট গ্রহণ করা হবে সেগুলি হল-গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগর।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী জেনে নেওয়া যাক-এই বিধানসভা আসনগুলিতে কোন দল এগিয়ে, কোন দল পিছিয়ে।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক লোকসভা আসনে ২০১৯-র নির্বাচনে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী। এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তমলুক বিধানসভা আসনে এগিয়েছিল তৃণমূল। লোকসভা ভোটের ফল অনুযায়ী, এই কেন্দ্রে তৃণমূল পেয়েছিল ৯৩,৬৮০ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৮৭,১৩২ ভোট। সিপিএম পেয়েছিল ২৭,৯৫৮ ভোট। কংগ্রেস পেয়েছিল ২১৩০ ভোট।
পাঁশকুড়া পূর্ব আসনেও তৃণমূল এগিয়েছিল। এই আসনে তৃণমূল ৭৯,৪৩৭, বিজেপি ৭২,০৫৭, সিপিএম ২১০৫৪ ও কংগ্রেস ২৬৭৬ ভোট পেয়েছিল।
ময়না আসনে তৃণমূল এগিয়েছিল। এই আসনে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ছিল ১,০০,৮৮০। বিজেপি পেয়েছিল ৮৮,৪৯৭ ভোট। সিপিএম ১২,৩৮৯ ও কংগ্রেস ২৪৮৮ ভোট পেয়েছিল।
নন্দকুমারেও এগিয়ে তৃণমূল। তারা পেয়েছিল ৯৭,৪৭৪ ভোট। বিজেপি ৮২,১১৬, কংগ্রেস ২০৬৫ ও সিপিএম ২৪,৯১৮ ভোট পেয়েছিল।
মহিষাদল আসনেও লিড ছিল তৃণমূলের। তারা পেয়েছিল ৯৬,২১৫ ভোট। বিজেপি ৭৯,২৯৯ ভোট পেয়েছিল। ২১,৮৩৫ ভোট পেয়েছিল সিপিএম। কংগ্রেস পেয়েছিল ২৪২৮ ভোট।
হলদিয়াতেও এগিয়েছিল তৃণমূল। ১,২৫,২৯৬ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬১৪৭৫, সিপিএম পেয়েছিল ১৮,৩৫৫ ভোট। কংগ্রেস পেয়েছিল ২৩৭৯ ভোট।
নন্দীগ্রামেও এগিয়ে তৃণমূল। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ছিল ১,৩০,৬৫৯। বিজেপি পেয়েছিল ৬২২৬৮ ভোট। সিপিএম পেয়েছিল ৯৩৫৩ ভোট এবং কংগ্রেস পেয়েছিল ১৭৮৮ ভোট।
পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া পশ্চিম কেন্দ্রটি ঘাটাল লোকসভা আসনের অন্তর্ভূক্ত। এই আসনে লোকসভা ভোটের ফল অনুযায়ী এগিয়ে বিজেপি। এই আসনে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৪,৬৮৩। বিজেপি পেয়েছিল ৯৭,৫২৮ ভোট। সিপিএম পেয়েছিল ১৩,০৭৪ ভোট।
ঘাটাল লোকসভা আসনের অন্তর্ভূক্ত সবং, পিংলা, ডেবরা, দাসপুর, ঘাটাল, কেশপুর বিধানসভা আসনেও দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণ করা হবে। ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, সবং আসনে এগিয়ে তৃণমূল। তারা পেয়েছিল ৯৪,৭৯৮ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৮৮,৬২৮ ভোট। সিপিএম পেয়েছিল ১৯,৩১৮ ভোট।
পিংলা আসনেও সামান্য ব্যবধানে এগিয়েছিল তৃণমূল। তাদের প্রাপ্ত ভোট ৯৯,৭৬০ ভোট। বিজেপি ৯৮,০৬২ ও সিপিএম ৯৮৯৩ ভোট পেয়েছিল।
ডেবরা আসনে এগিয়েছিল বিজেপি। তারা পেয়েছিল ৮৪,৬১৮ ভোট। তৃণমূল পেয়েছিল ৮০,৫৯৯ ভোট। সিপিএম পেয়েছিল ২১,৬৩৬ ভোট।
দাসপুর আসনে এগিয়েছিল তৃণমূল। তারা পেয়েছিল ৯৯,২৪৬ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৮৯,৩০৬ ভোট। সিপিএমের প্রাপ্ত ভোট ছিল ১৭,৫৬৯ ভোট।
ঘাটাল আসনেও এগিয়েছিল তৃণমূল। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ১,০৩,৩৩১। বিজেপি পেয়েছিল ৯৭,৪৬৫ ভোট। সিপিএমের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮,১৫৬।
কেশপুর আসনে এগিয়েছিল তৃণমূল। তারা পেয়েছিল ১,৪৪,৯৯০ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৫২৯১৬ ভোট। সিপিএম পেয়েছিল ৭,২৯৭।
আরামবাগ লোকসভা আসনের অন্তর্গত পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা আসনে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ফল অনুযায়ী এগিয়ে তৃণমূল। তারা পেয়েছিল ১,০৬,৮০০ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ১,০৩,১৬৯ ভোট। সিপিএম পেয়েছিল ১৪,৮২৭ ভোট।
মেদিনীপুর লোকসভা আসনের অন্তর্ভূক্ত নারায়ণগড় ও খড়্গপুর সদর আসনে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ফল অনুযায়ী এগিয়ে বিজেপি। নারায়ণগড়ে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৭,৩২৪ । তৃণমূল পেয়েছিল ৮৮,৫৭৪ ভোট। বাম প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১১,৫৬৮।
খড়্গপুর সদর আসনে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৩,৪২৫, তৃণমূল পেয়েছিল ৪৮,২৯৩ ভোট। বাম প্রার্থী পেয়েছিলেন ৮,১৫৬ ভোট।
বাঁকুড়া লোকসভা আসনের অন্তর্গত তালড্যাংরা ও বাঁকুড়া-দুটি বিধানসভা আসনেই ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনের ফল অনুযায়ী এগিয়েছিল বিজেপি।
তালড্যাংরায় বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮৭,৮২৬। তৃণমূল পেয়েছিল ৭০, ৫৫৮। বাম প্রার্থী পেয়েছিলেন ২০,৫৬৯ ভোট।
বাঁকুড়া আসনে বিজেপি পেয়েছিল ১,১২,০৮০ ভোট। তৃণমূল ৬৫,৩০৪ ভোট। বামেরা পেয়েছিল ১৫,১৪৩ ভোট।
দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ বিষ্ণুপুর লোকসভা আসনের অন্তর্গত বড়জোড়া, ওন্দা, বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, ইন্দাস, সোনামুখী বিধানসভা আসনেও।
২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনের ফল অনুযায়ী বড়জোড়া আসনে এগিয়ে বিজেপি। তাদের প্রাপ্ত ভোট ৯১,৭৩৬। তৃণমূল পেয়েছিল ৮০,১১৬ ভোট। সিপিএম পেয়েছিল ২৩,১৭১ ভোট।
ওন্দা আসনেও এগিয়ে বিজেপি। তারা পেয়েছিল ১,০৬,৭৮৮ ভোট। তৃণমূল পেয়েছিল ৮০,৪১৫। সিপিএম প্রার্থী পেয়েছিলেন ৮,৮৬৬ ভোট। বিষ্ণুপুর আসনেও এগিয়ে বিজেপি।
তাদের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮৯,৮০৬। তৃণমূল পেয়েছিল ৬৬,৯৮৮ ভোট। সিপিএম পেয়েছিল ১৩,৭৫৩ ভোট।
কোতুলপুর আসনে এগিয়ে বিজেপি। তাদের প্রাপ্ত ভোট ৯৭,৯০৭। তৃণমূল পেয়েছিল ৮৮,৮০৮। সিপিএম পেয়েছিল ১৪,০৮১ ভোট।
ইন্দাস আসনে ৯৮,১৮৪ ভোট পেয়ে এগিয়েছিল বিজেপি। তৃণমূল পেয়েছিল ৮৪,৫৯১ ভোট। সিপিএম পেয়েছি ১২,১০৬ ভোট।
সোনামুখী আসনেও ৯৮,৯৮৩ ভোট পেয়ে এগিয়ে বিজেপি। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৭৫,১৪৮। সিপিএম পেয়েছিল ১৯,৪৫১ ভোট।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের গোসাবা বিধানসভায় ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী এগিয়ে তৃণমূল। তারা পেয়েছিল ১,০১,৫২২ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৭২,২৩৬ ভোট। বাম প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৭১৩ ভোট।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর লোকসভা আসনের অন্তর্গত পাথরপ্রতিমায় ১,১৩,০৬০ ভোট পেয়ে এগিয়েছিল তৃণমূল। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল ৭৭,২৮১। বাম প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ১৭,১৩৮।
কাকদ্বীপ আসনেও ১,০৬,২০৩ ভোট পেয়ে এগিয়ে তৃণমূল। বিজেপি পেয়েছিল ৮০,৭৪৭ ভোট। সিপিএম পেয়েছিল ৯,৭৩০ ভোট।
সাগর আসনে ১,১৯,০৭০ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। বিজেপি পেয়েছিল ৮৭,০৫৮ ভোট। সিপিএম পেয়েছিল ১৩,৮৯৬ ভোট।